E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কলাপাড়ায় হঠাৎ স্কুল ভবন ধস, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা

২০১৬ মে ০৯ ১৯:১২:৪৩
কলাপাড়ায় হঠাৎ স্কুল ভবন ধস, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা

মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পক্ষিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের সামনের বাড়ান্দার পাঁচটি পিলারসহ কার্নিস ও ছাদের পলেস্তারা ধ্বসে পড়েছে। রবিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে তখন পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলেছিলো।

ভবনে ধস শুরু হওয়ায় দ্রুত ক্লাসে উপস্থিত ৩২ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বাইরে বের হয়ে আসায় তারা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। এ বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘ বছর ধরে চরম ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক বছর আগেই বিদ্যালয় ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভবনের পিলারের পলেস্তারা খসে পড়ে বেড়িয়ে ছিলো শুধু কংকাল। গোটা ভবনে বিশাল বিশাল ফাঁটল। এই বিধ্বস্ত ভবনে ক্লাস চলাকালীন ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে এরআগেই অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন রক্ষায় স্কুল থেকে কয়েকশ ফুট দূরে কারিতাসের একটি ভবনের নিচতলায় ছালা টানিয়ে শিশু থেকে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস করার অনুমতি নেয়। আর ওই বিধ্বস্ত খবনের একটি কক্ষে চলছিলো পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাঁদের এই ভবন সমস্যার কথা উপজেলা শিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে একাধিকবার উপস্থাপন করাসহ নিতুন ভবনের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তাদের ভবনের সমস্যা সমাধানের উদ্দ্যেগ না নেয়ায় রবিবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র-ছাত্রী বলেন, “আমাগো তহন ক্লাস চলছিলো। হঠাৎ দেহি সব ভাইঙ্গা পড়ছে। আমরা মনে করছি ভুমিকম্প। হেইয়ার লাইগা মোরা দোড়াইয়া বাইরাইয়া যায়। আর একটু দেরি করলে সব মনে হয় আমাগো মাথার উপর পড়তো। আর যামু না ওই ভাঙ্গা স্কুলে”।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ট্যানথান রাখাইন জানান, বিদ্যালয়ে ১৭৪ ছাত্র-ছাত্রী। এখন তো আর স্কুল ভবনে ক্লাস করার উপায় নেই। জরুরী ভিত্তিতে নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মান করা না হলে এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাবে।

কলাপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান জানান, বিদ্যালয় ভবন ধ্বসে পড়ার খবর তাঁরা শুনেছেন। নতুন ভবন নির্মানের জন্য বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ভবন নির্মান করা শুরু করা হবে।

(এমকেআর/এএস/মে ০৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test