E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাটমোহরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১০

২০১৬ মে ১১ ১৮:৫৫:২৪
চাটমোহরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১০

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল বাজারে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলা আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম সরদারসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত প্রার্থীর বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস সরদার ভাই বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।

হামলায় আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম সরদারসহ কমপক্ষে ১০ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম সরদার, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে নিলয়, ধূলাউড়ি গ্রামের মৃত বাছের ফকিরের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম, দিরাজ প্রামানিকের ছেলে মজিবর রহমান, মৃত চাঁদ আলী সরদারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস। অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেমকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে হানান্তর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেমের নেতৃত্বে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে চড়ইকোল বাজারে পৌছুলে একদল দুর্বৃত্তরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাজারে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ওই এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম দাবি করে বলেন, আমার উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মকবুল হোসেন। সোমবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছি। নেতা-কর্মীদের আমার সাথে দেখা করার জন্য মঙ্গলবার রাতে চড়ইকোল বাজারে গেলে মকবুল চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদে আলম, জিন্নাহ, মোবা ও বুলবুলসহ প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি দল এ হামলা চালিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মকবুল হোসেন জানান, ঘটনার সময় আমি ধরইলে নির্বাচনী প্রচার করছিলাম। পরে ঘটনাটি জেনেছি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। ওই ঘটনার সাথে আমার কোনরুপ সম্পৃক্ততা নেই। বর্তমানে হরিপুরের নির্বাচনী পরিবেশ আমার অনুকূলে রয়েছে। একটি পক্ষ সেটি নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
উল্লেখ্য, চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নসহ ৬টি ইউনিয়নে আগামী ৪ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

(এসএইচএম/এএস/মে ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test