E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নির্বাচনে পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থীর কান্ড!

২০১৬ মে ৩১ ১২:২৮:০৬
নির্বাচনে পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থীর কান্ড!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে গিয়ে পরাজিত এক মেম্বারপ্রার্থী প্রতিপক্ষ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানী শুরু করেছে।




মামলাবাজ খ্যাত ওই মেম্বার প্রার্থী ইতোমধ্যেই এলাকায় থাকেন না এমন এক সংখ্যালঘু নারী ঝর্না রানী (৭৮) কে বাদী বানিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। এই ঘটনা ঘটেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের চন্দ্রকোলা গ্রামে।

ওই মামলায় যাদের প্রতিপক্ষ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ২জন বিগত ২০০৩ সালে এবং তারও অনেক আগে মারা গেছেন। যে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, হামলা, প্রাননাশের হুমকি বা জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই জমির মালিক মামলার বাদী ঝর্না রানী নয়। এমন কি ওই জমিতে সংঘর্ষের যে তারিখ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেই তারিখ বা এর ২/১ বছরের মধ্যে ওই জমিতে কোন প্রকার বিবাদ বা ঝগড়ার ঘটনাও ঘটেনি বলে ঝর্না রানীর স্বজন ও ওই জমির পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা নিশ্চিত করেছেন। এমন কি বৃদ্ধা ঝর্না রানীও দু-চার দশ বছরের মধ্যে এখানে আসেননি। তিনি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি থানার খয়েরবাড়ি গ্রামের জিতেন্দ্র নাথ সাহার স্ত্রী। তিনি সেখানেই থাকেন।

তথ্য অনুসন্ধান ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মে চন্দ্রকোলা গ্রামের আরএস-৬৫৩ ও ৬৫৭ দাগে ঝর্না রানীর দখলীয় ৪২ শতক জমিতে ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ চন্দ্রকোলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান, ইয়াছিন আলী, খলিলুর রহমান, বেলাল হোসেন, আব্দুর রহিম মন্ডল এবং জোতরাম গ্রামের ইউনুছ আলী ও মাসুদ সংঘবদ্ধ হয়ে ঝর্না রানীকে মারপিট করে এবং খুন জখমে উদ্যোত হয়। এমন অভিযোগ এনে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর অভিযোগ করেন। যার নং ২১৭ মিস/২০১৬।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলায় যাদের প্রতিপক্ষ করা হযেছে, তাদের মধ্যে আব্দুর রহিম মন্ডল বিগত ২০০৩ সালে মারা গেছেন। অপর প্রতিপক্ষ ইয়াছিন আলী মন্ডল তারও অনেক আগে মারা গেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তা নিশ্চিত করেছেন। মামলার স্বাক্ষীদের মধ্যে জয়পুরহাট সদরের চকজগদিশ গ্রামের ফারুক হোসেন এক এফিডেফিটের মাধ্যমে জানান, তিনি উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অবগত নন। এমন কি মামলার বাদীকে তিনি চেনেন না। কেন যে তাকে স্বাক্ষী করা হলো এটিই তিনি বুঝতে পারছেন না। এদিকে যে জমি নিয়ে অভিযোগ, সেই জমির পাশের বাড়ির বাসিন্দা কথিত বাদী ঝর্না রানীর নাতি ( মেয়ের ছেলে) সুশান্ত কুমার হালদার জানান, ওই জমির মালিক তার দিদিমা (ঝর্না রানী) নয়। তিনি বহুদিন এখানে আসেননি। ওই জমি নিয়ে কোন বিবাদও হয়নি। প্রতিবেশী নিমাই হারদারেরও একই কথা। তিনি বলেন জমি সংক্রান্ত কোন বিরোধ এখানে কখনো ঘটেনি।

মামলার প্রতিপক্ষ সিদ্দিকুর রহমান জানান, জমির মালিকানা, জবরদখল বা মারপিটের ঘটনা কাল্পনিক। প্রকৃত ঘটনা হলো, ইসবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মোঃ মোকছেদুর রহমান এবারের নির্বাচনে পরাজিত হন। সেই ক্ষোভে তিনি আমাদের প্রতিপক্ষ ভেবে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য কাল্পনিক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদের হয়রানী করছে।


(বিএম/এস/মে ৩১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test