E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যশোরে ফিলিং স্টেশনে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক ৪

২০১৬ জুন ০৭ ১৬:৩৮:০৭
যশোরে ফিলিং স্টেশনে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক ৪

যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চড়াভিটা বাজারে আব্দুল বারী ফিলিং স্টেশনে জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে মূল ঘাতকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।

ফিলিং স্টেশনের তেল চুরির টাকা ভাগাভাগি, মাদক সেবন নিয়ে বিরোধ ও কলেজছাত্র অপুর টাকা লুট করতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

পলাতক কর্মচারী যশোর সদর উপজেলার মুনসেফপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। সোমবার রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক অন্য তিন সহযোগী হলেন- সদরের রামনগর গ্রামের ইকবাল, বাঘারপাড়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের নয়ন ও চাড়াভিটার নাসির।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার রাতেই অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেছেন ফিলিং স্টেশনের ইজারাদার মাসুদুর রহমান।

যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিল্লাল হোসেন জানান, আটক কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম জোড়া খুনের দায় স্বীকার করেছে। সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, ‘ফিলিং স্টেশনের তেল চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। প্রতিদিন তেল চুরি করত সিরাজুল। আর দিন শেষে তেল চুরির টাকার ৮০ ভাগ ম্যানেজার নিয়ে নিতেন। বাকি ২০ ভাগ পেতেন সিরাজুল। এ নিয়ে সিরাজুল ক্ষুব্ধ ছিলেন।

এছাড়া ইকবাল, নয়ন ও নাসির ফিলিং স্টেশনে বসে গাঁজা সেবন করতো। এতে ম্যানেজার বাধা দিতো। এ নিয়ে ওই তিনজন চরম ক্ষুব্ধ ছিল। তারা চারজন মিলে রোববার রাতে ওবায়দুর ও লিজন আহমেদ অপুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

বিল্লাল হোসেন আরও জানান, ঘটনাস্থলের পাশের একটি ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার বাঘারপাড়া উপজেলার দশপাখিয়া গ্রামের রহমান মোল্লার ছেলে ওবায়দুর রহমান (৩০) ও রঘুনাথপুর গ্রামের সদর উদ্দিন খানের ছেলে লিজন আহমেদ অপুকে (২৪) হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যায় ওই ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী সিরাজুল। ফলে হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

(ওএস/এএস/জুন ০৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test