E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মিতু হত্যাকাণ্ড : ব্যাকআপ ফোর্সের চালকসহ  মাইক্রোবাস আটক

২০১৬ জুন ০৮ ২২:১৭:০৬
মিতু হত্যাকাণ্ড : ব্যাকআপ ফোর্সের চালকসহ  মাইক্রোবাস আটক

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের ঘটনায় মোটরসাইকেলের পেছনে ব্যাকআপ ফোর্স হিসেবে থাকা মাইক্রোবাসটি চালকসহ আটক করতে সক্ষম হয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চালকসহ সেই মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়। এরপর গাড়িসহ চালককে নগর পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গাড়িটি একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের। তবে চালক জানিয়েছে, পুলিশ সুপারের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার বা মাইক্রোবাসটির সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

এর আগে মঙ্গলবার সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার জানিয়েছিলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে খুনিদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেছনে কালো রঙের যে মাইক্রোবাস দেখা গেছে সেটা খুনিদের সহযোগিতা করার জন্য এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মাইক্রোবাসটির গতিবিধি দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি যে, এটা খুনিদের ব্যাকআপ ফোর্স হিসেবে কাজ করছিল। খুনিরা যদি আক্রান্ত হতো তবে মাইক্রোবাসের সহযোগিতা নিত। আমরা মাইক্রোবাসটি জব্দ করার চেষ্টা করছি।

রবিবার (৫ জুন) হত্যাকাণ্ডের পর শুরুতে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিলেও সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দিয়েছে নগর গোয়েন্দা ‍পুলিশ। তবে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেলের মালিক দেলোয়ারকে মঙ্গলবার (০৭ জুন) সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর সিএমপির কাছে হস্তান্তর করেছে।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ বলেন, দেলোয়ারের বাড়ি বোয়ালখালীর কধুরখীল উপজেলায়। থাকে নগরীর জামালখানে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে ছয় বছর আগে সে মোটর সাইকেলটি বিক্রি করে দিয়েছে। এরপর কয়েক হাত ঘুরে এখন মোটর সাইকেলটি কার কাছে আছে সে জানে না।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত পুলিশ সুপার ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে ‍মিতু আক্তার (৩২) রবিবার (০৫ জুন) সকাল সোয়া সাতটার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত আটটি ছুরিকাঘাত ও একটি গুলি করে পালিয়ে যায়। নিহত মাহমুদা খানম ওরফে ‍মিতু আক্তার (৩২) এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী।

সকালে ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দেওয়ার জন্য জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুডের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন মিতু আক্তার। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা তিন ঘাতক তার গায়ে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে এবং পরে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়।

এ ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতা, কর্মী, সদস্য এবং সচেতন নাগরিকরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করে আসছেন।

(ওএস/এস/জুন০৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test