E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে ধান সংগ্রহে অনিয়ম, গুদাম কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

২০১৬ জুন ২৯ ২০:১৯:২৭
গৌরীপুরে ধান সংগ্রহে অনিয়ম, গুদাম কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ খাদ্যগুদামে সরকারি ধান সংগ্রহে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযাগ পাওয়া গেছে। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করে পর্সেন্টিজের বিনিময়ে বেশির ভাগ ধান ক্রয় করা হয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও দালালদের কাছ থেকে। এসব অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে স্থানীয় কৃষকরা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে।

গৌরীপুরে ধান সংগ্রহে অনিয়ম, গুদাম কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

শ্যামগঞ্জ খাদ্য গুদাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শ্যামগঞ্জ খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫৬০ মেট্রিক টন। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের দাম ২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু হয় ৫মে থেকে এবং ২৮ জুন শেষ হয়।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শ্যামগঞ্জ খাদ্য গুদামের চত্বরে একাধিক কৃষকের শত শত বস্তা ধান পড়ে আছে। কৃষকরা বলেন, গত ১০/১৫ দিন ধরে আমাদের বস্তা ভর্তি ধান গুদাম চত্বরে পড়ে আছে। গুদাম কর্মকর্তা ধান আজ নিবে, কাল নিবে এমন টালবাহান করে করে দিন পার করেছেন। কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, টাকা না দেওয়ায় গুদাম কর্মকর্তা আমাদের কাছ থেকে ধান নেয়নি। কিন্তুু টাকার বিনিময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী, দালাল ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েকশ টন ধান নেওয়া হয়েছে। এবং টন প্রতি দুই হাজার থেকে থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছেন গুদাম কর্মকর্তা। এতে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে। এদিকে ধান না নেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ২টায় সাধারণ কৃষকরা গুদাম চত্বরে বিক্ষোভ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণা মজুমদার এসে তাদের গুদাম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এসময় কৃষকরা প্রকাশ্যে তাকে ঘুষ নেওয়ার কথা বললে কয়েকজনের সাথে তার বাকবিতন্ডাও হয়।
মইলাকান্দা ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম বলেন, গুদামের চত্বরে আমার তিন টন ধান গত দশ দিন ধরে পড়ে থাকায় রোদবৃষ্টি ঝড়ে নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় আমার ধান নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামগঞ্জ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, গুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিতে পারছিনা। উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্জিনা আক্তার বলেন, অনিয়মের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসইএম/পি/জুন ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test