E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাওড়াকান্দি ঘাট অব্যবস্থাপনায় ঘরমুখো যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

২০১৬ জুলাই ০৪ ১৮:১১:৩৬
কাওড়াকান্দি ঘাট অব্যবস্থাপনায় ঘরমুখো যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

মাদারীপুর প্রতিনিধি :বৈরী আবহাওয়ার মাঝে ঝড়-বৃষ্টিসহ চরম ভোগান্তি উপেক্ষা করে নাড়ীর টানে ছুটছে দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।

সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাওরাকান্দি ফেরি ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে বৈরী আবহাওয়ার কারনে ফেরিতে অধিকযাত্রী পার হচ্ছে। ঘাট অব্যবস্থাপনার কারনে কওড়াকান্দি ঘাটে দেখা দুরপাল্লার পরিবহণ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঈদকে সামনে রেখে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। বৈরী আবহাওয়ার মাঝে ঝড়-বৃষ্টিসহ চরম ভোগান্তি উপেক্ষা করে নাড়ীর টানে স্বজনদের কাছে আসতে পেরেছে এটাই দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের আনন্দ।

কাওরাকান্দি ঘাট সূত্রে জানা যায়, ঘাটে দীর্ঘ যানজটের কারনে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ঘরমুখো যাত্রীদের প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে দুরপাল্লার পরিবহণে উঠতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার পাশাপাশি যাত্রীরা দুরপাল্লার পরিবহণ সংকট পড়ছে। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা খুলনা, বরিশাল, ভাটিয়াপাড়া, মোকসেদপুর, নরাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টরকিসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পরেও দ্বিগুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত ভাড়া আদায়ের করছে পরিবহণ শ্রমিক ও মালিকরা। অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া মাইক্রোবাস চালকরা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাওরাকান্দি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের সড়কে যত্রতত্র ভাবে ইজিবাইক, মাহিদ্রা, সবুজবাংলা রেখে গাড়িতে যাত্রী উঠাচ্ছে। ফলে লঞ্চ, স্পিডবোট থেকে যাত্রীরা নেমে মহাসড়কে উঠতে দূর্ভোগে পরতে হচ্ছে।

খুলনার যাত্রী সোনিয়া আক্তার ও আসাদুজ্জামান জানান, যানজটের কারণে ঘাট থেকে নেমে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যাত্রীদের গন্তব্যের পরিবহণের পৌছাতে হচ্ছে। ফলে বৈরী আবহাওয়ায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে দূর্ভোগ নেমে এসেছে যাত্রীদের উপর।
মাইক্রোবাসের ভাটিয়াপাড়ার যাত্রী হুমায়ন করিব বলেন, আগে কাওরাকান্দি থেকে ভাটিয়াপাড়ার ভাড়া ছিল ১০০টাকা এখন ৩৫০টাকা ভাড়া আদায় করছে। এরকম প্রতিটি রুটেই দ্বিগুন থেকে তিনগুন ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো। অতিরিক্ত ভাড়া ব্যাপারে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

খুলনাগামী যাত্রী উর্মি আক্তার বলেন,‘ লঞ্চ থেকে নেমে মহাসড়কে উঠতেই পাঁচ মিনিটের পথ লেগে গেছে বিশ মিনিট। বৃষ্টিতে কাঁদা হওয়ায় এবং রাস্তার জুড়েই ছোট ছোট গাড়িতে আটকা থাকায় ঘাট থেকে নেমে বিপাকে পরতে হয়েছে।’

একাধিক যাত্রী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মাঝে ঝড়-বৃষ্টিসহ চরম ভোগান্তি উপেক্ষা করে নাড়ীর টানে স্বজনদের কাছে আসতে পেরেছে এটাই বড় আনন্দ। কোন কষ্টই তাদের কষ্ট মনে হয় না।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আঃ সালাম মিয়া বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক যাত্রীরা ফেরি পাড় হচ্ছে। প্রয়োজনে যাত্রী সেবা নিশ্চত করতে গাড়ির পরিবর্ততে ফেরিতে যাত্রী পাড় করা হবে বলে তিনি জানান।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন, কাওরাকান্দি ঘাটে যাত্রীদের সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ‘যানজট নিরসনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। লঞ্চ ঘাটের রাস্তার ছোট ছোট গাড়ি যানজট সৃষ্টি করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

(এএসএ/এস/জুলাই০৪,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test