E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক কারাগারে

২০১৬ জুলাই ১৮ ১৬:০০:৪৯
টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক কারাগারে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলীর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। আজ সোমবার সকালে একটি মামলায় আব্বাস আলী আদালতে হাজির হয়ে জামি প্রার্থনা করলে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রে আমলী আদালতে বিচারক গোলাম কিবরিয়া তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বিএনপি নেতা এডভোকেট আলী ইমাম তপন বাদী হয়ে জমি দখলের একটি মামলায় আব্বাস আলী পুলিশের গ্রেফতার পরোয়ানায় পলাতক আসামী ছিলেন।

সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে এক মুর্তিমান আতংকের নাম ছিল। শ্রমিক নেতা আব্বাস আলী ও তার সহযোগিরা জেলা শহরে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও জমি দখল শুরু করে। চাঁদাবাজি ও অন্যের জমি দখল করে রাতারাতি হোটেল বেয়ারা থেকে কোটিপতি বনে যান আব্বাস আলী।

টাঙ্গাইলে আলোচিত খান পরিবারের ৪ ভাইয়ের সার্বিক সহযোগিতায় আব্বাস আলী শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। ৪ ভাইয়ের আশিবার্দ নিয়েই গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয় আব্বাস আলী।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে আব্বাস আলী। বেড়ে যায় জমি দখল ও চাঁদাবাজিও। শুধু অন্যের জমি দখল করেই ক্ষ্যান্ত ছিলেন না আব্বাস আলী। সে শহরের নিরালার মোড়ে যেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হওয়ার কথা পৌরসভার সেই জমিও দখল করে শ্রমিক লীগের কার্যালয় বানিয়ে ছিলেন।

আব্বাস আলী ছিল বিশাল ক্যাডার বাহিনী। সেই ক্যাডার বাহিনী শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরা, মিষ্টিপট্রি, কাচা বাজারসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালাত। আব্বাস আলী দখলে রয়েছে শতাধিক একর জমি। এর মধ্যে পৌর এলাকার ভাল্লুককান্দি এলাকায় ১২ শতাংশ জমির ওপর নির্মান করা হয়েছে বহুতল ভবন।

এদিকে খান পরিবারের ৪ ভাই মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ২০১৪ সালের অক্টোবর রাতে শ্রমিক লীগের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম স্বাধীন ও ইমরানকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শ্রমিক লীগ কার্যালয়ের পাশ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকেই শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান।

সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।


(এমএনইউ/এস/জুলাই ১৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test