E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তিন বার মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত বরিশালের এক শিক্ষা অফিসারের দম্ভ

২০১৬ আগস্ট ০৭ ১৬:১৭:২১
তিন বার মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত বরিশালের এক শিক্ষা অফিসারের দম্ভ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট মহা-পরিচালক ও বিভাগীয় উপ-পরিচালকের প্রত্যেকের তিন বার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পক্ষ থেকে চারবার সুপারিশ করা সত্বেও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দাবিকৃত উৎকোচ না দেয়ায় নানা সমস্যার মাঝেও কাঙ্খিত বিদ্যালয়ে বদলী হতে পারেননি এক শিক্ষক।

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দম্ভোর কাছে পরাজিত হয়েছে মন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ। এনিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার হিজলা উপজেলার পারেকহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

ওই স্কুলের শিক্ষক মাহমুদা বেগমের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নানাসমস্যার কারণে তিনি ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি তার সুবিধাজনক দক্ষিণ বড়জালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বদলীর জন্য তার (মাহমুদা বেগম) কাছে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দাবি করেন। তার দাবিকৃত উৎকোচ না দেয়ায় অদ্যবর্ধি তাকে বদলীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে শিক্ষক মাহমুদা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সময়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট মহা-পরিচালক ও বিভাগীয় উপ-পরিচালকের প্রত্যেকের তিনবার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পক্ষ থেকে চারবার সুপারিশ করা সত্বেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুনীল চন্দ্র দেবনাথ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলেছেন।

তার দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে মন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশেও শিক্ষক মাহমুদা বেগমকে বদলী করা হবেনা বলেও তিনি (শিক্ষা অফিসার) দম্ভ করে বলেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুনীল চন্দ্র দেবনাথের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর শিক্ষক মাহমুদা বেগমের বদলীর বিষয়ে জানতে চাইলেই তিনি ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করে তা বন্ধ করে দেন।

সরেজমিনে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষকরা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের বিস্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের গাড়ির ড্রাইভার আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুনীল চন্দ্র দেবনাথের বাড়ি জেলার মুলাদী উপজেলায়। একই উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় রাজ্জাকের ক্ষমতার জোরে শিক্ষা অফিসার একের পর এক নানা অপর্কম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন।

তার দাবিকৃত টাকা না দিলে সকল নিয়ম অনিয়মে পরিণত হয়। অসংখ্য শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দাবিকৃত মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিতে না পারায় বদলী হতে পারছেন না।

(টিবি/এস/আগস্ট ৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test