E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা

২০১৬ আগস্ট ০৮ ১৫:২০:২৪
নাগরপুরে রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা

নাগরপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি :দীর্ঘ দিন পর বড় ধরনের বন্যার কবলে পড়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। ৩০ মিনিটের রাস্তা যাতায়াতে ব্যায় হচ্ছে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা। সীমাহীন দুর্ভোগ পথচারীসহ এলাকার জনসাধাণ। রাস্তা গুলো স্ব-চক্ষে না দেখলে বোঝার উপায় নেই, এবার বন্যায় ব্রীজ, কালভার্ট ও রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে খানাখন্দকে পরিণত হয়ে উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন এলকার যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত রাস্তা গুলো পুনসংস্কার করে যান চলাচলের জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে।

নাগরপুর সদর থেকে বেকড়া-সলিমাবাদ সড়ক, ধুবড়িয়া-ভাদ্রা সড়ক, ধুবড়িয়া-দপ্তিয়র সড়ক, মোকনা-পাকুটিয়া-নাগরপুর সড়ক, বটতলা থেকে শাহজানী সড়ক, সহবতপুর ভারড়া সড়ক এবং গয়হাটা ইউনিয়নের উপজেলা সদর থেকে ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসা পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন সড়ক বন্যার স্রোতে ভেঙ্গে খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন ব্রীজ ও কালভার্ট বন্যার স্রোতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে উপজেলার বেকড়া সলিমাবাদ সড়ক এবং নাগরপুর থেকে ভাদ্রা সড়ক।

নাগরপুর থেকে বেকড়া সলিমাবাদ সড়কের কোনা বাড়ী (বটতলা) থেকে বরটিয়া কাশেম মুন্সির বাড়ী পর্যন্ত ছোট বড় আটটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া উপজেলা সদর থেকে ধুবড়িয়া-চাষাভাদ্রা সড়কের অনেক জায়গায় ভেঙ্গে খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে। এবং চাষাভাদ্রা নামকস্থানে বেইলী ব্রীজসহ রাস্তার অনেকংশে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নাগরপুর হইতে সলিমাবাদ রাস্তার কোনা বাড়ী (বটতলা) মোড় থেকে বরটিয়া কাশেম মুন্সির বাড়ীর মোড় পর্যন্ত বন্যার ¯স্রোতে ভেঙ্গে ছোট-বড় আটটি গর্তের সৃষ্টি হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বেকড়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত হোসেন এ প্রতিবেককে জানান, এবার বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট। বেকড়া-সলিমবাদ সড়ক না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই, বন্যার ¯্রােতে রাস্তাটি কি পরিমাণ ভেঙ্গে খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে। ফলে উপজেলা সদরের সাথে বেকড়া সলিমাবাদের যোগাযোগ ব্যাবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়া বন্যায় ইউনিয়নের প্রায় রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট যে পরিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে সে বরাদ্দ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা গুলো মেরামত করা সম্ভব হবে না। আমার ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তা-ঘাট আমি নিজে পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। যাতে নাগরপুর হইতে সলিমাবাদ পর্যন্ত ব্যস্ততম এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগি করা যায়।

একাধিক পথচারীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নাগরপুর হইতে সলিমাবাদ পর্যন্ত যে সকল যানবাহন চলাচল করতো বন্যার ¯্রােতে কোন বাড়ী (বটতলা) মোড় থেকে বরটিয়া কাশেম মুন্সির বাড়ীর মোড় পর্যন্ত বন্যার ¯্রােতে রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নাগরপুর থেকে সলিমাবাদ পর্যন্ত যাতায়াত করা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বর্তমানে নাগরপুর থেকে কোনা বাড়ী (বটতলা) মোড় পর্যন্ত গিয়ে বিকল্প রাস্তা অবলম্ভন করে বরটিয়া কাশেম মুন্সি বাড়ীর মোড় থেকে পুনরায় গাড়ীতে উঠে সলিমাবাদ যেতে হচ্ছে। রাস্তা অনেকাংশে ভেঙ্গে খানাখন্দকে পরিণত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩০ মিনিটের রাস্তা যাতায়াত করতে সময় ব্যায় করতে হচ্ছে প্রায় দের থেকে দুই ঘন্টা। ফলে এ রাস্তার জনসাধরণের পোহাতে হচ্ছে নানা দূর্ভোগ। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত না করা হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা। তাই যতদ্রুত সম্ভব এব্যস্ততম রাস্তাটি পুনসংস্কারের জন্য জোড়া দাবী জানান পথচারীসহ এলাকার জনসাধরণ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বন্যায় উপজেলার রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ও ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্টে একটি তালিকা তৈরী করে উপর মহলে পাঠানো হয়েছে। সে মোতাবেক যতদ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ও কালভার্ট গুলো মেরামত করা হবে।

(আরকেএস/এস/আগস্ট০৮,২০১৬)


পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test