E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কলেজ পড়ুয়া অন্তঃসত্ত্বা  স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

২০১৬ আগস্ট ১১ ১৫:৪২:৫৭
কলেজ পড়ুয়া অন্তঃসত্ত্বা  স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে উপজেলার চরসামন্তসার গ্রামের এক অটোচালক তার কলেজ পড়ুয়া ৫ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেছে বলে অবিযোগ পাওয়া গেছে।

স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য নিহত আয়নার লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেছে আয়নার স্বজনেরা। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের শ্বাশুড়ী কে পুলিশ আটক করেছে। গোসাইরহাট থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলার চরসামন্তসার গ্রামের আলাল ফকিরের কন্যা আয়না বেগম এর সাথে একই গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিন মাদবরের ছেলে ইজি বাইক চালক জসিম মাদবরের সাথে ২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কনের বাবা আলাল ফকির তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাতাকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। গত বছর আয়না এসএসসি পাশ করে গোসাইরহাট সামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হয়। এবার সে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। এমতবস্থায় ৫ মাস পূর্বে আয়না বেগম সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে স্বামী জসিম মাদবর পুনরায় স্ত্রী আয়না বেগমকে একটি নতুন অটো রিক্সা ক্রয়ের জন্য পূনরায় দেড় লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে তার বাবার কাছে পাঠায়। অসহায় বাবা এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

বুধবার রাতে জসিম মাদবর তার অন্তঃসত্তা স্ত্রী কে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করার এক পর্যায় গলাটিপে হত্যা করে । এ ঘটনার দায় থেকে নিজেকে বাঁচাতে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য আয়নার মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে জসিম পালিয়ে যায় বলে নিহতের বাবা আলাল ফকির অভিযোগ করেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে গোসাইরহাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের শ্বাশুড়ী জেবুন্নেসা বেগমকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত আয়না বেগম এর বাবা আলাল ফকির বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর যৌতুকের জন্য চাপ দিলে ১ লাখ টাকা দেই। কয়েকদিন পূর্বে পুনরায় দেড় লাখ টাকা চেয়ে পাঠায়। আমি দিতে অপারগতা স্বীকার করি। এতে জামাই জসিম ক্ষুদ্ধ হয়ে আমার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

গোসাইরহাট থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের সুরতহাল থেকে বুঝা গেছে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানাযাবে। এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ এনে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।





(কেএনআই/এস/আগস্ট১১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test