E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১২ আগস্ট শাহবাগের বিক্ষোভের ডাক

সময় টিভির অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন

২০১৬ আগস্ট ১২ ১২:৪৮:১২
সময় টিভির অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :সম্প্রতি সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে একটি নগ্ন ভিডিও চিত্র ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর তা নিয়ে টাঙ্গাইলের সাংবাদিক মহলসহ সর্ব মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অপকর্মের হোতা সময় টিভি’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি দুই কিশোরকে পুলিশে দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। তাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। কথিত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। পালিত হচ্ছে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের অর্জুনা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙনের উপর প্রতিবেদন করতে যান সময় টিভি’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি কাদির তালুকদার ও ক্যামেরাম্যান রাশেদ খান। ভাঙনের দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে কোন ভাঙনের দৃশ্য না পাওয়ায় নিজেরাই উদ্যত হন নদীর তীর ভাঙতে। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সাবল, লাঠি, বল্লম দিয়ে নদী তীরের মাটি কেটে তা নদী গর্ভে ফেলা হয়। একটি দুর্লভ দৃশ্য ধারণ করে সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের এমন হীন কৌশল ও নোংরামির উৎকৃষ্ট উদারণ সৃষ্টি করেছেন ওই সাংবাদিক।

এক সময়ের পাসপোর্ট, বিআরটিএ অফিসের দালাল থেকে উঠে আসা ওই সাংবাদিক অর্থের বিনিময়ে সময় টিভি’র নিয়োগ নিয়ে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেন। ৫ হাজার টাকার নিচে কোন নিউজ কভার করতে তিনি রাজি হননা বলে টাঙ্গাইলের সাংবাদিক মহলে একটি মুখরোচক আলোচিত বিষয়।

সময় টিভি’র সাংবাদিক ও ক্যামেরা ম্যানের নিউজ কভারেজের এমন অপকৌশল স্থানীয় এক কিশোর মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে ইউটিউবে ‘সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা’ শিরোনামে আপলোড করে। বিষয়টি জানাজানি হলে টাঙ্গাইলের সাংবাদিক মহলসহ সর্ব মহলে তোলপাড় শুরু হয়। সবাই ঘৃণা জানাতে থাকে এমন হীন কৌশলকে।

নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে মোবাইলে ভিডিও ধারণকারী দুই কিশোরকে চাঁদাবাজ বানানোর চেষ্টা চালায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এতেও ক্ষান্ত হয়নি ওই কথিত সাংবাদিক। দু’একজন সাংবাদিক নেতার সহযোগিতায় গত ৫ আগস্ট তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় তুষার (৩৫), মো. হাসান (৩০), রানু মিয়া (১৯) নামে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ৬ আগস্ট মো. হাসান ও রানু মিয়াকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। দু’জনকে জেলাখানায় পাঠিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি।

এমন নোংরামির প্রতিবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী কথিত ওই অপসাংবাদিকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী। গত ৮ আগস্ট অর্জুনা এলাকায় এবং ৯ আগস্ট ভূঞাপুর উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতার হওয়া দুইজনকে মুক্তিসহ কথিত সাংবাদিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচী দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী ১২ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকার শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে এলাকাবাসী।

আন্দোলনকারীদের প্রধান আব্দুস ছাত্তার বলেন, কথিত ওই সাংবাদিক তিনজনকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে যে মামলা দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একজন সাংবাদিকের কাছে গ্রামের সাধারণ কোন ছেলে চাঁদা দাবি করবে এটা কোন পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তাছাড়া সত্যিই যদি চাঁদা দাবি করে থাকে তাহলে ঘটনার ২৫ দিন পর কেন মামলা দেওয়া হলো?


(এনইউ/এস/আগস্ট১২,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test