E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাংশার জলিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা

২০১৬ আগস্ট ১২ ১৩:৪৮:০৮
পাংশার জলিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি :রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির জলিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহালদশা সৃষ্টি হয়েছে। ৪ বছর আগে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্থ হওয়া জরাজীর্ণ স্কুল ঘরেই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ভাঙাচোরা ঘরে রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে শিক্ষকদের নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। আবাসন সমস্যার কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আসবাবপত্র সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, ১৯৩০ সালে জলিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের একটি মাত্র টিনশেড ঘর ২০১২ সালে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্থ হয়। পরে ঝড়ে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া টিন দিয়ে ছাপড়া তোলা হয়। দীর্ঘ ৪বছর ধরে জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘরে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হলেও অদ্যবধি ভবন নির্মান করা হয় নাই। জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘরের মধ্যে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষকদের মানসিকতা ভেঙে পড়েছে। ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের ধরে রাখাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে চার শাতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘরে পাঠদান করায় শিক্ষকদের মানসিকতা ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ১৯৩০ সালে জলিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের একটি মাত্র টিনশেড ঘর ২০১২ সালে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্থ হয়। পরে ঝড়ে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া টিন দিয়ে ছাপড়া তোলা হয়। দীর্ঘ ৪বছর ধরে জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘরে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হলেও অদ্যবধি ভবন নির্মাণ করা হয় নাই। তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন জরাজীর্ণ স্কুলঘর দেশের অন্য কোনও বিদ্যালয়ে নেই। আধুনিক মানের বিদ্যালয় ভবন নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে।

যশাই ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুল ঘর বিধ্বস্থ হওয়ার পর বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণের জন্য আমরা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয় নাই। দীর্ঘ চার বছর পরিত্যাক্ত ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান কার্যক্রম চলছে। যে কোনও মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

শিক্ষা অফিসার বছির উদ্দিন জানান, ঝড়ে বিধ্বস্ত জলিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর অনেক আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সেখানে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবন নির্মানের জন্য গত ২০১৫ সালে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে।


(এমএইচ/এস/আগস্ট১১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test