E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মরণ ফাঁদে পরিণত সড়কটি

২০১৬ আগস্ট ১৫ ১৬:১১:০৯
মরণ ফাঁদে পরিণত সড়কটি

জাহেদুল ইসলাম সমাপ্ত, লালমনিরহাট : দেশের অন্যতম বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত। এই স্থলবন্দর দিয়ে আমাদানি-রফতানি পণ্যবাহী শত শত ট্রাক লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। অথচ এই ব্যস্ততম মহাসড়কটির আজ বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যাচ্ছে। ছোট বড় শত শত গর্ত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই মহাসড়কের পরিবহন চালক ও যাত্রীদের।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারীর দুরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। ৯০ কিলোমিটার দুরত্বের এ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। এই মহাসড়কে চলাচল করতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাস কিংবা পণ্যবাহী ট্রাক প্রায় সবসময় বিকল হচ্ছে। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেল, ভটভটি এমনকি বাস-ট্রাক উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া বৃষ্টি এলে রাস্তার ছোট-বড় গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। ফলে পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ড্রেনের ব্যবস্থা। এই মহাসড়কের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা ও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা বাজার, কালীগঞ্জ উপজেলার থানার সামন ও কাকিনা বাজার, আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী বাজার এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার কলেজ বাজার। এলাকাবাসী এসব দুর্ঘটনার জন্য মহাসড়ক জুড়ে ছোট বড় গর্তকে দায়ী করছে। তারা বলছেন, বর্তমানে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক সংস্কারের অভাবে তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এ ব্যাপারে লামনিরহাট শহরের কলেজ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মান্নান বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতে আমার দোকানের সামনের সড়কটিতে পানি জমে। এ মহাসড়কে ছোট বড় অনেক গর্ত রয়েছে।

কিছুদিন আগে এইসব গর্তে ইটের খোয়া ও বালু ফেলা হলেও তা উঠে গেছে। এখন বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যায় গর্তগুলো। ফলে গর্ত দেখা না যাওয়ায় প্রায় দিনেই দুর্ঘটনা ঘটছে।

এ ব্যাপারে ট্রাক ও বাসচালকরা জানান, বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট মহাসড়কে শত শত ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। আগে পাটগ্রাম থেকে লালমনিরহাট যেতে ২ ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সাড়ে তিন ঘণ্টা থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। লালমনিরহাট থেকে রংপুর যেতে সময় লাগতো প্রায় ১ ঘন্টা আর এখন সময় লাগে দেড় ঘন্টা। এ অবস্থায় গাড়ি চালানো খুবই কষ্টকর।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবে গর্ত বন্ধে কাজ করছি। তবে ভারি যানবহন চলাচলের কারণে গর্তগুলো বড় হচ্ছে। ইতোমধ্যে সড়কটির ১৭ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আরও ৪০ কিলোমিটার সংস্কার করা হবে।’

(জেআইএস/এএস/আগস্ট ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test