E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বান্দরবানে নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

২০১৬ আগস্ট ১৫ ১৬:১৮:৪২
বান্দরবানে নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

বান্দরবান প্রতিনিধি : পার্বত্য বান্দরবানে নানা কর্মসুচীর মধ্যদিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। শোক দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ পুস্পমাল্য অর্পন করেন। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও রক্তদান কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়।

এদিকে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগেও পৃথকভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, গরীব দুস্থদের মাঝে অনুদান বিতরণসহ নানা কর্মসুচী পালন করা হয়।

এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগ শোক র‌্যালী, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বিভিন্ন এলাকায় কাঙ্গালী ভোজ এর আয়োজন করে। এ সব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এতে অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা ও দায়েরা জজ মোঃ শফিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বনিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী, সিভিল সার্জন ডা. উদয় শংকর চাকমা, বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হারুনর রশিদসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যার কোন বিকল্প নেই। তিনি সারাজীবনই বাংলার মাটি আর মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী, আপোষহীন, ন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। দেশের কিছু ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তানী দালাল বঙ্গবন্ধুর উদারতার সুযোগ নিয়ে তাকে স্বপরিবারে আজকের এই দিনে নিমর্মভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতিকে কলংকিত করেছেন। দীর্ঘ ৪০ বছর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসির আদেশের মাধ্যমে বাঙ্গালী কলংকমুক্ত হলেও খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর না হওয়ায় জাতি এখনো হতাশ।

তিনি আরো বলেন, জননেত্রী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশকে ধ্বংস করার জন্য একটি গোষ্ঠি ধর্মকে পুজি করে একের পর এক হামলা চালিয়ে নিরিহ মানুষকে হত্যা করে দেশকে একটি অস্থিতিশীল জঙ্গি রাষ্ট্র পরিনত করতে চাচ্ছে।

দেশের প্রত্যেক জনগণকে এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এলাকায় এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে অভিবাবকদেরও সজাগ থাকতে হবে। তার সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে আড্ডা দেয়, দিনের বেশীর ভাগ সময় কোথায় কি করে, পড়া-লেখার নাম ব্যবহার করে কোথায় যাচ্ছে সে সম্পর্কে অবশ্যই ধারনা রাখতে হবে। এ বিষয়ে তিনি সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে চোখ-কান খোলা রেখে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

(এএফবি/এএস/আগস্ট ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test