E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় বর্ষণে মাছের ঘের, পান বরজ ও রাস্তা ধসে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি

২০১৬ আগস্ট ২২ ১৫:৫৪:০৫
আগৈলঝাড়ায় বর্ষণে মাছের ঘের, পান বরজ ও রাস্তা ধসে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ৪৯ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শনিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত অবিরাম ভারি বর্ষণে মাছের ঘের, পান বরজ, পোল্ট্রি খামার, বীজ তলা, রোপা আমন, শাক-সবজীর ক্ষেত তলিয়ে এবং এলজিইডি’র সড়ক ধসে অন্তত ৩ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ৩০ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন দুই উপজেলা।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৪৯ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে শনিবার রাত থেকে রবিববার সকাল পর্যন্ত ২৭০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস ও এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত থেকে অব্যাহত প্রবল ভারী বর্ষণে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ২০ হেক্টর পান বরজ, ১০ হেক্টর শাক-সবজী, ৫০ হেক্টর জমির উফশী আমন ধান, ৪৫ হেক্টর আমনের বীজ তলার সম্পূর্ণ ক্ষতির খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল। এখাতে ক্ষতির পরিমান কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার জানান, গোডাউন রোডে এলজিইডি’র ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য অবৈধভাবে খালে সম্পূর্ন বাধ দেয়ায় বৃষ্টির পানি জমে বন্যার আকার ধারন করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাজিহার ও বাকাল ইউনিয়নে। রাজিহার ইউনিয়নে শতকরা ৮০ভাগ পান বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে। মাছের ঘের তলিয়ে মৎস্য চাষিরা দিশেহারাহয়ে পরেছে। বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, তার ইউনিয়নে সকল পুকুর ও ঘেরের মাছ, পান বরজ পানিতে ডুবে গেছে। ক্ষয় ক্ষতির তালিকার কাজ চলছে।

অফিস সূত্র মতে, শনিবার রাতে আকস্মিক বৃষ্টিতে উপজেলায় সহস্রাধিক চাষির মাছের ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গিয়ে এই খাতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এলজিইডি সূত্র মতে, উপজেলার আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন জানান, প্রাথমিকভাবে বৃষ্টিতে এলজিইডি’র সড়ক ধ্বসে অন্তত ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্ষতির তালিকা নিরূপণের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার রাত ২টা থেকে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫০ ঘন্টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত রয়েছে। সোমবার সকালে শুধুমাত্র উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে এখনও শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃদাঃ)শতরূপা তালুকদার জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ করে তালিকা চাওয়া হয়েছে। তারা এখনও কোন তালিকা তার দপ্তরে জমা দেননি।

চাষিদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তাদের ক্ষয়-ক্ষতির কোন তথ্য চাওয়া হয়নি। ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য তারা মাঠেও পাচ্ছেন না কর্মকর্তা-কর্মচারিদের।

(টিবি/এএস/আগস্ট ২২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test