E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইল আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা

২০১৬ সেপ্টেম্বর ০২ ১৭:১৪:৪০
টাঙ্গাইল আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুর্ভোগ থেকে সহসাই পরিত্রাণ মিলছে না দক্ষিণ টাঙ্গাইলের নাগরপুর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, সাটুরিয়া উপজেলাবাসীর। এসব উপজেলার জনগণের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এ আঞ্চলিক মহাসড়ক।

এ আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলা অংশের ২০কি.মি. রাস্তার অবস্থা বেশি নাজুক। এ রাস্তার বিটুিমন দীর্ঘদিন যাবৎ উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তার উপর দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এই রাস্তার ১০টি বেইলী ব্রীজ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে হরহামেশাই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। কিন্তু তার পরও সংস্কার হচ্ছে না রাস্তা ও ব্রীজগুলো।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদের সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার জনাব আব্দুল হাকিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে এই রাস্তার ১০কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। বাকী কাজ আগামী অর্থবছরে করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আর যে সকল বেইলী ব্রীজ আছে আমরা সেগুলো ভেঙ্গে নতুন করে ব্রীজ করার চিন্তা ভাবনা করছি। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তার যে সকল জায়গা সংস্কার করা হয়েছিল অল্প বৃষ্টিতে সেসব জায়গার বিটুমীন উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা চলে গেছে খানাখন্দকে পরিনত হয়ে তার পুরানো চেহারায়, জনগণের ভোগান্তি পৌছেছে চরম সীমায়। রাস্তার সব চেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে ধুবড়িয়া তে-রাস্তা থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত। এটুকু রাস্তা যানবাহন চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় চলাচলকারী এক যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন এ সড়ক দিয়ে মন্ত্রী( উল্লেখ্য মন্ত্রী তারানা হালিমের পৈতৃক বাড়ী ধুবড়িয়া) সচিব, এমপি এতো বড় বড় মানুষ যাতায়াত করেন, তারা কি এগুলো দেখেন না। ব্রীজগুলোর মধ্যে নাগরপুর থানা কমপ্লেক্্র সংলগ্ন নোয়াই নদীর উপর বেইলী ব্রীজ, চাষাভাদ্রা বেইলী ব্রীজ, টেংরীপাড়া বেইলী ব্রীজের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এসকল ব্রীজের সামনে ঝুকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ড থাকলেও জীবনের ঝুকি নিয়ে মালবাহী ট্রাকচালকরা বাধ্য হয়ে ব্রীজের উপর দিয়ে ট্রাক নিয়ে উঠছেন।

ট্রাকচালক করিম শেখ জানান, এসকল ব্রীজে মালভর্তি ট্রাক নিয়ে উঠলে খুব ভয় লাগে, মনে হয় ট্রাক নিয়ে খালে পড়ে যাবো। ব্রীজ ঝাকুনি দেয় স্টীলের পাটাতন খোলা থাকে। গত কয়েক দিন আগে তীরছা ব্রীজে আমি ট্রাক নিয়ে উঠলে পাটাতন ভেঙ্গে একচাকা ভিতরে ঢুকে যায়। ব্যস্ততম এ রাস্তাটি অনতিবিলম্বে সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে তাদের দুর্দশা লাঘবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।

(আরএসআর/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test