E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বামনায় নিলাম ছাড়া ভাঙ্গা হচ্ছে পাবালিক লাইব্রেরী ভবন

২০১৪ জুন ১১ ১৪:২৬:৫৪
বামনায় নিলাম ছাড়া ভাঙ্গা হচ্ছে পাবালিক লাইব্রেরী ভবন

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী কাম-অডিটরিয়াম ভবনটি কয়েক বছর জড়াজির্ন অবস্থায়  থাকার পর  জনগুরুত্বপূর্ণ ভবনটি সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এড. মো. হারুন অর রশিদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আ.স.ম হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে নিলাম ছাড়া কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী ওই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।

বামনা সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সম্মূখ চত্বরে অবস্থিত ওই লাইব্রেরী ভবনটি এখন প্রকাশ্য দিবালোকে ভাঙার কাজ চললেও ভবনটি সুরক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিযে পাকা ভবনটি বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামনা গ্রামের আফজাল হোসেনের ২০/২৫ জনের একদল ভাঙ্গারী শ্রমিক বাহিনী দিয়ে গত সোমবার বেলা ১১টা থেকে পাবলিক লাইব্রেরী কাম-অডিটরিয়াম ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করে।
জানাগেছে, বামনা সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখ চত্বরে খুলনা বিভাগীয় উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক সহায়তায় বামনা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী কাম-অডিটরিয়াম ভবনটি ১৯৮৩ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। এ জনগুরুত্বপূর্ণ ভবনটিতে একটি মিলনায়তন অবস্থিত। সেখানে এ জনপদের সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি অনুষ্ঠিত হত। পরে ভবনটি জ্বরাজীর্ণ হযে পড়লে সেখানে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল চালু ছিল্। কয়েকমাস আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে ওই কিন্ডারগাটেন স্কুলটি সরিযে নিতে বাধ্য হয়। কিন্ডারগাটেন স্কুলটি সরিয়ে নেওয়ার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই ভবনটির দরজা জানালা ভেঙ্গে ফেলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবরে ভবনটি ভঙ্গার জন্য স্মারকলিপি দেয়। এরপর গত সোমবার থেকে সরকারী কোন অনুমোদন ছাড়াই ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করা হয।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালযের একজন শিক্ষক জানান,সরকারী পাবলিক লাইব্রেরী কাম-অডিটরিয়াম ভবনটি স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে স্থানান্তরিত করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেছিল। স্থানান্তরের প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ায় বামনা সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ৮৫ হাজার টাকায় পাবলিক লাইব্রেরী কাম-অডিটরিয়াম ভবনটি উপজেলার রামনা গ্রামের আফজাল হোসেনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এরপর সোমবার থেকে ভনটি ২০/২৫ জনের একদল নির্মাণ শ্রমিক পাবলিক লাইব্রেরী কাম-অডিটরিয়াম ভবনটি ভেঙ্গে ইট, রডসহ আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে থাকে।
পাবলিক লাইব্রেরী কাম-অডিটরিয়াম ভবনটি ভাঙ্গার নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তি উপজেলার রামনা গ্রামের আফজাল হোসেন জানান যে, সে বামনা সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদের কাছ থেকে ভবনটি ৮৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন। তাই ভবন ভেঙ্গে ইট, রডসহ আসবাবপত্র নিচ্ছেন।
বামনা সারওয়াজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের স্কুলের বাচ্চাদের বিভিন্ন সময় পাবলিক লাইব্রেরী ভবনের ইট পড়ে মাথা ফেটেছে। যার জন্য ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। সরকারী অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেন এর কাছে পাবলিক লাইব্রেরী ভবন ভাঙ্গার বিষয় জানতে চাইলে তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আমি পাবলিক লাইব্রেরী ভবন ভাঙ্গার ব্যাপারে কিছুই জানি না। সরকারী জনগুরুত্বপূর্ণ কোন স্থাপনা অনুমোদন ছাড়া কেউ বিনস্ট করলে তা বে আইনি এ বিষয়ে সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এমএইচ/এএস/জুন ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test