E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে উত্তরাঞ্চলে নতুন দিগন্তের সূচনা

২০১৬ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৫:৫৬:৫৭
পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে উত্তরাঞ্চলে নতুন দিগন্তের সূচনা

পাবনা প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ উত্তরাঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সতুন দিগন্তের সূচনা করবে। নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদীর মাজগ্রাম রেলস্টেশন থেকে পাবনা শহর ঘেঁষে বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত রেললাইন হবে ৭৮ কি.মি দীর্ঘ।

এই পথে ১১টি রেলস্টেশন, ১১টি বড় এবং ১০২টি ছোট ব্রিজের নির্মাণকাজ চলছে। ৫০টি লেভেল ক্রসিং গেট থাকবে। এই রেলপথের জন্য ইতোমধ্যেই ১ হাজার ১৪ দশমিক ২১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই রেলপথ নির্মাণ শেষ হলে কৃষিপণ্য পরিবহন, বাজারজাত ছাড়াও শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাবনা জেলার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে।

আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে উত্তরাঞ্চলের আমুল পরিবর্তন ঘটবে বলে শিল্পদ্যোক্তা ও কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির নেতরা মনে করছেন।

মাজগ্রাম হতে পাবনা পর্যন্ত প্রথম এবং পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায় ভাগ করে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। বঙ্গবন্ধু সরকার আমলে জাতীয় নেতা মরহুম ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এই রেলপথের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্টের পর এই প্রকল্প ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এ রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

২০১১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেললাইন প্রকল্পে টেন্ডার আহ্বানের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই টেন্ডার অনুযায়ী চলছে নির্মাণ কাজ। মাজগ্রাম হতে পাবনা পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের লাইন স্থাপনের কাজ প্রায় শেষে পর্যায়ে। এরই মধ্যে নির্মিত হয়েছে রেলষ্টেশন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মীর আক্তার হোসেন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাবনা হতে শুরু করে সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলার আংশিক হয়ে বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত কাজ শুরু করেছে । ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানা যায়, সুজানগরের তাঁতিবন্ধ হবে ‘বি’ টাইপ ও সাঁথিয়ার ভৈরবপুরে হবে ‘ডি’ টাইপের স্টেশন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী ২৭ মাসের মধ্যে কাজটি সমাপ্ত করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী ওয়ার্ক মো. হাবিবুর রহমান জানান, মাজগ্রাম থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ‘বি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরির দশটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এজন্য মাজগ্রাম স্টেশনকে আপগ্রেড করা হচ্ছে। রেলওয়ের কনসালট্যান্ট বিভাগের পরামর্শ মতে স্টেশনের স্থানগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।

(এসকেকে/এএস/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test