E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নাগরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

২০১৬ অক্টোবর ২২ ১৫:২৫:৪৬
নাগরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

নাগরপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি : সরকার প্রতিনিয়ত প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। টাংগাইলের জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রশাসক হিসেবে পদক লাভ করেন।

কিন্তু টাংগাইলের নাগরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শিক্ষকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। নাগরপুর উপজেলার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫ টি ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয়, ২৩টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ৫১টি সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ নিয়ে কোনরকমে জোড়াতালি দিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। বিকল্প কোন ব্যবস্থা করতে না পারায় চরম আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।অতিরিক্ত ঝুকির আশঙ্কা থাকায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ও ২৫টি বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে-২০নং শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২১নং নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যদুনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাখাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রমুখ। ঝুঁকিপূর্ণ অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষ সমস্যা, টয়লেট সমস্যা এবং বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে মাঠ তলিয়ে থাকে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নামমাত্র সংস্কার করে কিছু বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ জোড়াতালি দিয়ে পাঠদানের উপযোগী করা হলেও কিছুদিন পর সেগুলো আবার পাঠদানের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।

এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ২১নং নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির দুটি ভবন থাকলেও সর্বশেষ ২০০৭ সালে নির্মিত ভবনটির ছাদের পলেস্তার এখুনি খুলে পড়ছে।আর পুরাতন ভবনটির করুন দশা নিয়ে অত্যন্ত ঝুকির মধ্যে চলছে পাঠদান।পুরাতন ভবনের ভাংগাচোড়া মেঝে,ছাদের পলেস্তার খুলে গেছে,অল্প বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে।এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংবলিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলাপকরলে তারা অনেক ক্ষোভের সাথে বলেন আমরা প্রতি মাসের বিল মিটিংয়ের সময় আমাদের দুঃখ দূর্দশার কথা বলি কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন সমাধান পাইনি।

অপরদিকে নাগরপুরে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক মিলিয়ে ৭৪টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য হওয়ায় বছরের শেষ সময়ে এসে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।উপজেলা সদরের কাছাকাছি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট না থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষক সংকট প্রকট।আর এ কারণে শহরের তুলনায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা অনুযায়ী ভবন ও শিক্ষক সংকটের তালিকা পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক সংকটের সমাধান করা হবে।আর নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর নতুন নতুন ভবন বিদ্যালয়গুলোতে নির্মান হচ্ছে।আশাকরি খুব দ্রুতই এ সকল সংকট কেটে যাবে।

(আরএসআর/এএস/অক্টোবর ২২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test