E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরের ডাকঘরগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত

২০১৬ অক্টোবর ২২ ১৫:৩৩:০২
গৌরীপুরের ডাকঘরগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিভিন্ন শাখা ডাকঘরগুলো ভবন, জনবল ও বিদ্যুৎ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে করে গ্রাহকদের সেবা পেতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গৌরীপুর উপজেলা প্রধান ডাকঘর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পৌর শহরে মোট ১৪টি শাখা ডাকঘর রয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ডাকসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এসব শাখা ডাকঘর স্থাপন করা হয়। প্রতিটি ডাকঘরে পোস্ট মাস্টার, রানার ও চিঠি বিলিকারীসহ তিনজন কর্মচারীর পদ রয়েছে। ডাকঘরগুলো থেকে চিঠি রেজিস্ট্রি, পার্সেল, ইএমও, খাম, ডাক টিকিট ও রাজস্ব টিকিট বিক্রি সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দেয়া হয় গ্রাহকদের। কিন্তু প্রয়োজনীয় লোকবল, আসবাবপত্র ও ভবন সঙ্কট সহ নানা কারণে এখানে প্রয়োজনীয় ডাক সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে কর্মরত কর্মচারীরা।

অভিযোগ আছে, চাকরির পরীক্ষার কার্ড সহ বিভিন্ন জরুরী ডাক গ্রাহকদের নিকট সময় মতো পৌঁছে না। এতে করে গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি গ্রামীণ ডাকঘরগুলোকে আধুনিক মানের উপযোগী করে তোলার জন্য অচিরেই উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে যুগোপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে। নয়তো ডাকসেবা একদিন বিলুপ্তি ঘটবে।

সরেজিমন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ভবানীপুর, ডৌহাখলা, শাহগঞ্জ, মুখোরিয়া, পাছার, বীরআহাম্মদপুর, ভুটিয়ারকোণা, রামগোপালপুর সহ মোট ৮টি ডাকঘরের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিজস্ব ভবন আছে। বাকি ৬টিরমধ্যে কেল্লাতাজপুর ডাকঘরের ভবন নির্মাণাধীন। বাকি ৫টি ডাকঘরের কোন ভবন নেই।

জানা গেছে, গিধাউষা ডাকঘরের কার্যক্রম চলছে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির বৈঠকখানায়, লামাপাড়া ডাকঘরের কার্যক্রম চলছে পোস্টমাষ্টারের ব্যাক্তিগত ফার্মেসীতে, মাওহা ও গৌরীপুর আরএস এই তিনটি ডাকঘরের কার্যক্রম চলছে পোস্ট মাষ্টারের বাড়িতে। এছাড়াও ঈশ্বরগঞ্জের আওতাধীন গৌরীপুরের বোকাইনগর ইউনিয়নের নাহড়া ডাকঘরের কার্যক্রম চলছে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে।

এদিকে ডাকসেবার মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ডাকঘরে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার ও ইন্টারন্টে মডেম প্রদানসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি প্রদান করে পোস্ট ই-সেন্টার সেবা চালু করেছে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। কিন্তুু পোস্ট মাস্টারদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকায় এসব পোস্ট অফিসে ই-সেন্টার সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাহকরা।

একাধিক পোস্ট মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, প্রতি মাসে অফিস খরচ দেওয়া হয় মাত্র ১৩টাকা। আগে ডাক ছাড়ার দাপ্তরিক খাতা-পত্র অফিস থেকে দেওয়া হতো। এখন নিজের টাকা দিয়ে কিনতে হয়।

উপজেলা ডাক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসীন মাহমুদ বলেন, নানাবিধ সমস্যা থাকার পরও আমরা ডাকসেবা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে মাস শেষে ডাক কর্মচারীরা যে টাকা সম্মানী পায় তা দিয়ে সংসার চলেনা। তাই কতৃপক্ষের কাছে ডাকসেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান।

ময়মনসিংহ জেলা উত্তর ডাক-বিভাগের পোস্ট অফিস পরিদর্শক রিপন রায় বলেন, জমিদাতা না পাওয়ার কারণে মাওহা, গৌরীপুর আরএস ও নাহড়া ডাকঘরের ভবণ নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। বাকি ডাকঘরের ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। বেতন-ভাতা বাড়ানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের বিষয়।





(এসআইএম/এস/অক্টোবর ২২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test