E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নোয়াখালীতে ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মেডিকেল সেন্টার!

২০১৬ অক্টোবর ২২ ১৬:২৪:০৫
নোয়াখালীতে ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মেডিকেল সেন্টার!

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ক্লিনিক, ডায়াগনিস্টিক সেন্টার ও হারবাল সেন্টার, বাড়ছে দালালদের দৌরাত্ম। অনুসন্ধানে দেখা যায় বেশ কয়েকটি ডায়াগস্টিক সেন্টার সরকারি কোন অনুমোদন না পেয়েও সাস্থ্য বিভাগকে মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় সরকারি-বেসরকারি ডাক্তারা। চিকিৎসার নামে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হতদরিদ্র অসহায় মানুষ। সরকারি সাস্থ্যসেবা থেকে সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে ক্লিনিকের দালালদের কারণে।

সরকার মানুষের দৌড়গোড়ায় সাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার কথা বার বার বললেও এসব ক্লিনিকের কারনে এখন ৭০ থেকে ৮০ ভাগ গ্রামের মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। নোয়াখালীর বেশ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেক বাজার, মহল্লা ও বাসাবাড়িতে দৈনন্দিন তৈরি হচ্ছে সেবা দেয়ার নামে ক্লিনিক ডায়গনিস্টিক সেন্টার এসব অনুমোদন বিহীন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিজেস্ব কোন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞ না থাকলেও ক্লিনিকের সামনে ঝুলানো থাকে বড় বড় ডাক্তারদের সাইন-বোর্ড, এদের মধ্যে অধিকাংশ সরকারি ডাক্তার বলে জানা যায়।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাহিরে শরীরের সকল প্রকার টেস্ট লেখা থাকলেও সে সকল টেস্টের কোন যন্ত্রপাতি নেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে। এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় সরকারি সাস্থ্যসেবা সরকারি সাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে সরকারি চিকিৎসকরা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ঐসব ডাক্তার কোন মতে হাজিরা দিয়ে ছুটে যায় বেসরকারি ক্লিনিকে। অনেক ডাক্তার একাধিক ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিক হওয়ায় সরকারি হাসপাতাল রেখে প্রতিনিয়ত সময় দেয় নিজেদেরই ডায়াগনিস্টিক সেন্টার গুলোতে।

অন্যদিকে সরকারি হাসপাতাল গুলোর বিরুদ্ধে রোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ নোংরা পরিবেশ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অনুপস্থিতি, দালালদের হয়রানি, সরকারি ঔষধ না পাওয়াসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সরকারি হাসপাতাল গুলো এসব বিষয়ে নোয়াখালী সিভিল সার্জনকে দ্বায়ী করছেন ভুক্তভোগিরা অন্য দিকে এসবের সুযোগ নিয়ে কতিপয় কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন হারবাল প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ১০০% গ্যারান্টিসহ চিকিৎসার চ্যালেঞ্জ করে অসহায় রোগিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

ঐ সকল হারবাল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের নামে প্রচার করা পোস্টারে রয়েছে অশ্লীল ছবি ও বাক্যের ছড়াছড়ি। এসব পোস্টার দেখে পর্ন মুভিতে আসক্ত হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। সাধারণ মানুষের দাবি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

(আইইউএস/এএস/অক্টোবর ২২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test