E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝি’র কাজ করে মেধাবী ছাত্র ভাই সুমনকে টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারছেন না !

২০১৬ নভেম্বর ০৬ ১২:৫৫:৫৯
ঝি’র কাজ করে মেধাবী ছাত্র ভাই সুমনকে টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারছেন না !

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :ঝিনাইদহে বোন জহুরা খাতুন পরের বাড়িতে ঝি’র কাজ করে মেধাবী ছাত্র ভাই সুমনকে টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারছেন না। পরের বাড়ি ঝি এর কাজ করে ভাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা বুঝি আর সফল হলো না বোন জহুরা খাতুনের। এতোদিন লোকের বাড়ি বাড়ি পুরানো কাপড় চেয়ে ভাইয়ের আব্রু ঢেকেছেন জহুরা। সেই কাপড় পড়ে ভাই সুমন স্কুল কলেজে পড়েছেন। ভাই সমুনও বোনের কষ্টের প্রতিদান দিয়েছেন।

এস,এস,সি পরীক্ষায় সুমন জিপিএ- ৫ ও এইচ,এস,সিতে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ভর্তির মেধা তালিকায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু বোন আর পারছেন না। এতিম সুমন ও তার বোন জহুরা বহু আগেই হারিয়েছেন বাবা আব্দুল লতিফ ও মা হাজেরা খাতুনকে।

সুমন জানিয়েছেন ভার্সিটির ভর্তির রেজাল্ট বের হওয়ার পর থেকে তিনি হতাশ হয়ে বসে আছেন। ঝি’র কাজ করে বোনের পক্ষে ভর্তি, ভার্সিটিতে থাকা খাওয়া, পোশাক কেনা সম্ভব নয়। মেধাবী সুমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এফ ইউনিটে ৩৭তম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডি ইউনিটে ৪৮ তম স্থান অর্জন করেছেন। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তিসহ থাকা, খাওয়া ও পোশাক আশাক কিনতে পারছেন না। তারা এখন ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার ডাঃ কে আহম্মদ সড়কে অন্যের দেওয়া বাড়িতে বসবাস করেন।

বোন হাজেরা খাতুন জানান, গাঁয়ের রক্ত পানি করে ভাইকে বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়ার সুযোগ করেছি। এখন আর আমার সমর্থ নেই। সংসারে আরো এক প্রতিবন্ধি বোন রয়েছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছি।

হাজেরা আক্ষেপ করে বলেন, সুমনের জীবনে কোন নুতন কাপড় বা এক টুকরা মাছ বা গোস্ত কিনে খাওয়াতে পারিনি। যা কিছু করেছি সব চেয়ে চিন্তে। তিনি এতিম সুমনকে ভার্সিটিতে ভর্তি, থাকা ও পোশাক কেনার জন্য সমাজের বিত্তবানদারে প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

এতিম সুমনের সাথে যোগাযোগ: মাহমুদ হাসান টিপু, সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব- ০১৭১১-৪৫২০৫১।





(জেআরটি/এস/নভেম্বর ০৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test