E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় শরীয়তপুরে ১৪ জেএসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিট

২০১৬ নভেম্বর ১১ ১২:৩৫:০৩
উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় শরীয়তপুরে ১৪ জেএসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিট

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ১৪ সহপাঠিকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের উপড়গাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জন মেয়ে এবং ৫ জন ছেলে শিক্ষার্থীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৪ জনের নাম সহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক জেএসসি পরীক্ষার্থী (জান্নাতুল ফেরদৌস ইতি)কে দীর্ঘ দিন যাবৎ স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করতো একই উপজেলার উপরগাও গ্রামের সালাম দেওয়ানের ছেলে শামীম দেওয়ান (২৪)। বৃহস্পতিবার শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা শেষ করে স্থানীয় আঙ্গারিয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই শিক্ষার্থী। এ সময় উপরগাও ভাঙ্গা রাস্তার কাছে পৌছালে শামীম ও সহযোগিরা তার পথ রোধ করে ছাত্রীটিকে নানা ভাবে উত্যক্ত করে আজে বাজে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার চায়। এক সময় তার হাত ধরে টানা হেচরা শুরু করে। মেয়েটি এর প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার অপর সহপাঠিরা প্রতিবাদ জানালে শামীম দেওয়ান, আমির দেওয়ান এবং আবুল হোসেন সহ ১০-১২ সন্ত্রাসী মিলে শিক্ষার্থীদের চৌকাঠ ও লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে পেটাতে থাকে।

এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ইতি, মীম, সুরমা, রহিমা, জসিম, সজীব, মাসুদ, শরীফ, শাহাজালাল, সাইফুল, শিশির, কাওসার, আবু সিদ্দিক এবং কালু আহত হয়। আহতদের মধ্য থেকে গুরুতর অবস্থায় ইতি, মীম, সুরমা, রহিমা, জসিম, সজীব, সাইফুল, কাওসার ও মাসুদকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী মীম, সুরমা, শামীম ও কাওসার জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ আমাদের সহপাঠি ইতিকে শামীম দেওয়ান উত্যক্ত করে আসছিল। আজ আমরা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ইতিকে প্রথম কুপ্রস্তাব দেয়। এরপর ওকে হাত ধরে টানা হেচরা করে। ইতি প্রতিবাদ করায় প্রথমে ওকে মারপটি করে। আমরা এগিয়ে এসে বখাটের প্রতিরোধ করতে চাইলে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমরা ১৪/১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হই। আমরা এই সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করছি।

বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, ১ নভেম্বর থেকে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। আমার স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র পরে বিনোদপুর থেকে ৫ মাইল দুরে আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই পথে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যতায়াত করে। আর প্রতিদিনই শামীম দেওয়ানসহ আরো কয়েক বখাটে এক পরীক্ষার্থীকে উত্যক্ত করে। আজ প্রতিবাদ জানালে আমার ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা করে, তাদের আহত করে। আমি এ বিচার চাই।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন পোদ্দার বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের প্রত্যেকের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা হাসপাতলে ভর্তি নিয়ে তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: খলিলুর রহমান বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর উপর হামলা হওয়ার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই। চার জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামী বাড়ি বাড়ি গিয়ে আটকের চেষ্টা করছে।







(কেএনআই/এস/নভেম্বর ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test