E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে ‘মিল্ক ভিলেজ’ উদ্বোধন ও গাভীপালন প্রশিক্ষণ

২০১৬ নভেম্বর ১১ ১৬:৪০:৫৫
শেরপুরে ‘মিল্ক ভিলেজ’ উদ্বোধন ও গাভীপালন প্রশিক্ষণ

শেরপুর প্রতিনিধি : দেশীয় প্রযুক্তিতে গাভী পালনের মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষক পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনের লক্ষ্যে শেরপুরে ‘মিল্ক ভিলেজ’ কর্মসূচী চালু করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এ কর্মসূচীর আওতায় ১১ নবেম্বর শুক্রবার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তিলকান্দি গ্রামকে জেলার প্রথম মিল্ক ভিলেজ গ্রাম হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে স্থানীয় সরকারি তিলকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাভীপালন বিষয়ে এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার অন্তত: তিনটি করে গাভী রয়েছে এমন ২৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ জরিপের চিত্রে দেখা যায়, তিলকান্দি গ্রামে মোট গাভী পালনকারী কৃষকের সংখ্যা ১৮১ জন এবং এ গ্রামে শংকরজাতের গাভী রয়েছে ২৭৬টি। প্রতিদিন এ গ্রামে ১ হাজার ৯৯৭ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। মিল্কভিলেজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. এএম পারভেজ রহিম।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বিশেষ অতিথি সদর ইউএনও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হায়দার আলী, গাভী পালনকারী কৃষক ক্বারী আবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, কোনপ্রকার সরকারি অর্থ বরাদ্দ ছাড়াই ইনোভেশন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে মিল্কভিলেজ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলার ৫ উপজেলায় মাঠজরিপের মাধ্যমে গাভী পালনকারী ৫টি গ্রামকে মিল্ক ভিলেজ করা হবে। এসব মিল্কভিলেজে ন্যায্যমুল্যে কিংবা বিনামুলে গাভী পালনকারীদের কৃত্রিম প্রজনন সেবা, টিকাদান, কৃমিনাশক ভ্যাকসিন প্রদান এবং রোগমুক্ত গাভী পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান ও উঠোন বৈঠক করা হবে।

এছাড়া তাদেরকে গাভী পরিচর্যা বিষয়ে সচেতন করা এবং দুগ্ধ সমবায় সমিতিভুক্ত করে দুধের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করা ও বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত করা হবে। এতে এলাকার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা বাড়বে।









(এইচবি/এস/নভেম্বর ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test