E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তবাসী ও সিভিল প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে’

২০১৪ এপ্রিল ০৯ ১৫:৫১:১৪
‘চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তবাসী ও সিভিল প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে’

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দীর্ঘ সীমান্ত জুড়ে রয়েছে ভারতের অবস্থান। আর এ সীমান্ত দিয়ে আমাদের দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাচালানি পণ্য। বিশাল এ সীমান্তে বিজিবি’র একার পক্ষে এসব মাদক ও চোরচালান বন্ধ করা সম্ভব নয়। এরপরও বিজিবি, পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাচালানি পণ্য জব্দ হচ্ছে। মাদক চোারচালানে বিজিবি’র পাশাপাশি সীমান্ত গ্রামবাসী ও সিভিল প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসের আগে এক সমাবশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জেনারেল আজিজ আহম্মেদ পিএসপি.জি এসব কথা বলেন।
মাদক চোরাচালানে বিজিবি জিরো টলারেন্স দেখাবে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, মাদক চোরাচালানের সঙ্গে বিজিবির কোনো সদস্যের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে। ভারত সীমান্তের মত বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে পিচঢালা রাস্তা নির্মাণ করা গেলে চোরাচালান দমনে তা অনেকটা সহায়ক হবে। এজন্য তিনি উচ্চ পর্যায়ে আলাপ আলোচনা করেছেন বলে জানান।
সমাবেশে বিজিবি’র খুলনা সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল এবিএম মিজানুর রহমান, বিজিবি’র যশোর জোনের এরিয়া কমান্ডার কর্ণেল শামস, সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল শাহজান সিরাজ, জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকতা, জনপ্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে ৯০ হাজার বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল, বিভিন্ন ধরনের ৯ হাজার বোতল বিদেশী মদ, চার হাজার পিস নেশা জাতীয় ইনজেকসন, ৫৬ কেজি গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ও পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। নষ্ট করা এসব মাদকদ্রব্যের মুল্য সাড়ে ১৫ লাখ টাকা।

(আরকে/এএস/এপ্রিল ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test