E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আতশবাজী নিয়ে কালশী রণক্ষেত্র শিশুসহ নিহত ১০

২০১৪ জুন ১৪ ০৯:৫৪:৫১
আতশবাজী নিয়ে কালশী রণক্ষেত্র শিশুসহ নিহত ১০

স্টাফ রির্পোটার : শবেবরাতের রাতে বাজি ফুটানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্লবীর কালশীতে বিহারীদের সঙ্গে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্থানীয়রাও জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।

নিহতরা সবাই বিহারী বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, রাতভর সংঘর্ষের পর ভোররাতে স্থানীয়রা বিহারী-পল্লীর কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয়। এই আগুনের পুড়েই দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জন মারা গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচ জন নারী রয়েছে।

নিহতদের দেহগুলো পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। আগুন দেয়ার সময় স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়ায় কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারে নি। পুলিশ এ জন্য বিহারীদেরকেই দায়ি করেছে। ফায়ার সাভিসের লোকজন সকালে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। যেখানে মরদেহগুলো রাখা হয়েছে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু বিহারীদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেও পারেননি। পুলিশ মাঝে মধ্যে ফাঁকাগুলি করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়েছে।

বিহারীরা বলছেন, মোহাম্মদপুরে তাদের একজন নেতা রয়েছেন তিনি ঘটনাস্থলে আসার পরই পুলিশকে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেয়া হবে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ২৪ ঘন্টার জন্য আতশবাজি পোড়ানোর নিষিদ্ধ করে। কিন্তু সবে বরাতের রাত থেকে বিহারীরা তা উপেক্ষা করে সেখানে আতশবাজির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যাচ্ছিল পুলিশের বাধা সত্ত্বেও। প্রথেমে এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তারের বাদানুবাদ হয়ে। এক সময় স্থানীয়রা এতে যোগদেয়।শনিবার ফজর নামাজের পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায়ও সংঘর্ষ চলছিল।

সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ১০টি অগ্নিদগ্ধ লাশ দেখেছেন। আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে একজন মারা যায়। তার নাম আজাদ (৩৫) বলে জানা গেছে।

এছাড়াও মিরপুর-১২ নম্বরের কুর্মিটোলার পাকিস্তানি ক্যাম্পের জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ৩ জন শিশু, ২ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ।

এর আগে সকালে এলাকায় বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, ফজরের নামাজের পরপরই বিহারী পল্লীর কয়েকজন তরুণ বাজী ফুটালে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় ওই তরুণদের সঙ্গে পুলিশের তর্কবিতর্কের পর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিহারী পল্লীর লোকজন বেরিয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আসা পল্লবী থানার পরিচ্ছন্নকর্মী আসলাম হোসেন রাবার বুলেটবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


(ওএস/এএসঅ/এটিঅার/জুন ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test