E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগ নেতা এম সাইদুল হক চুন্নু

২০১৬ ডিসেম্বর ২৭ ১৬:৩২:২৯
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগ নেতা এম সাইদুল হক চুন্নু

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, সদ্য বিদায়ী প্রশাসক ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা এম. সাইদুল হক চুন্নু। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি। ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এম. সাইদুল হক চুন্নু প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোয় পাবনায় চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখি লড়াই হচ্ছে ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চুন্নু বলেন, আমি এম. সাইদুল হক চুন্নু দীর্ঘদিন ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নগণ্য সেবক হিসেবে পাবনার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব প্রদান করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। গত ৫ বছর আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা, দক্ষতা ও সুনামের সাথে পালন করেছি। সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী। নির্দলীয় এ নির্বাচনে আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী যিনি পাবনার রাজনীতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় নিয়োজিত, তিনি পাবনার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারো সাথে আলাপ আলোচনা না করে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রভাবিত করে অযোগ্য, অদক্ষ ব্যক্তিদের পাবনাবাসীর মাথার উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে সর্বপ্রকার নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গ করে পদদলিত করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

তা ছাড়া আমি নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে দেখলাম সম্মানিত ভোটারগণ তরুণ প্রজস্মকে নেতৃত্বে দেখতে চায়। এ ছাড়াও আমি দেখলাম রাজনীতির নামে নির্বাচনী মাঠে নেমে বিশেষ কেউ অনৈতিক খেলায় মেতেছেন। আমার স্বচ্ছ রাজনৈতিক জীবনে কখনো নিজেকে এ ধরনের অনৈতিক কাজে জড়াইনি। তাই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমার আশা থাকবে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথা আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার গতিশীল নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে এবং জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করতে তথা পাবনাবাসীর উন্নয়নে সম্মানিত ভোটারগণ যোগ্য, তরুণ প্রজন্ম ও উদ্যমী নেতৃত্বকে নির্বাচিত করবেন। আমি অতীতের ন্যয় আগামীতেও আপনাদের তথা পাবনাবাসীর পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

শেষ পর্যন্ত আজকের নির্বাচনে পাবনায় তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এরা হলেন, কেন্দ্র মনোনীত পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক , ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সদ্য পদত্যাগী ঈশ্বরদী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশের একমাত্র নারী প্রতিদ্বন্দ্বি মাহজেবিন শিরিণ পিয়া এবং জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন।

জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলা ও ৯টি পৌরসভাকে ১৫টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ১ চেয়ারম্যান, ১৫জন সদস্য এবং ৫ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচত হবেন। নির্বাচনে জেলার সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র-চেয়ারম্যান-কাউন্সিলার-কমশিনার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার মিলিয়ে মোট ১১০৪ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন। ইতোমধ্যে সদস্য পদে ৪ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এখন ১১টি ওয়ার্ডে ৩৩ জন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে সংরক্ষিত ৫টি নারী আসনের মধ্যে ২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এখন ৩টি আসনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

(এসকেকে/এএস/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test