E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘোড়াঘাট চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার ও ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

২০১৪ এপ্রিল ০৯ ১৮:১৮:৫১
ঘোড়াঘাট চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার ও ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

দিনাজপুর প্রতিনিধি : একাধিক মামলার আসামী দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ মো. শামীম হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতারের দাবিতে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছে ঘোড়াঘাট ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তারা ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে এই অবরোধ শুরু করে। একই সাথে অবরোধকারীরা ঘোড়াঘাট থানার ওসি ফরহাদ ইমরুল কায়েসের প্রত্যাহার দাবিকরেন।

ঘোড়াঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক স্বরূপ কুমার ও যুবলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। এই ৫টি মামলা থাকা সত্বেও বুধবার ছাত্রশিবির ও বিএনপি ক্যাডারদের নিয়ে শাহ মো. শামীম উপজেলা পরিষদের দায়িত্বভার নিতে যায়। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করে উল্টো শিবির ও বিএনপি ক্যাডারদের প্রশ্রয় দিয়েছে।
এই অবস্থায় তারা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. শামীম হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার এবং ঘোড়াঘাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইমরুল কায়েসের প্রত্যাহার দাবী করেন।
বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ায় মহাসড়কের দু ধারে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিলো।
এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে ৪টি ককটেলসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় আটককৃতদের মধ্যে ২ জন শিবির ক্যাডার এবং অপরজন বিএনপির ক্যাডার। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো-ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরপুর গ্রামের এনামূল হকের ছেলে শিবির ক্যাডার হুমায়ুন কবীর (২৬), একই উপজেলার বলদিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহেল কাফির ছেলে শিবির ক্যাডার মুক্তার হোসেন (২৫) এবং বলগাছি গ্রামের বিএনপি কর্মী মোফাজ্জল হোসেন (৩৫)। তাদের কাছে রাখা একটি চটের ব্যাগ থেকে ৪টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস জানান, বিএনপি সমর্থিত নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোঃ শামীম হোসেন চৌধুরী আজ বুধবার উপজেলা পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ উপলক্ষে সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি ক্যাডাররা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের আশেপাশে ভীড় জমাতে থাকে। জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সমর্থকরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের আশেপাশে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ায় আওয়ামীলীগের লোকজনও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ফলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা দেখা দেয়।
আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ অবস্থান নেয় উপজেলা পরিষদ চত্বরে। দুপুর ১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে এই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানিয়েছেন ওসি ফরহাদ ইমরুল কায়েস।
(এটি/এএস/এপ্রিল ০৯, ২০১৪)




পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test