E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লাকসামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

২০১৭ জানুয়ারি ২১ ১৫:৩১:১৪
লাকসামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কুমিল্লার লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারের সদর রোডের মনোহরী পট্টি,স্বর্নপট্টি ও কাপড়িয়া পট্টিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায়  ৩’শ কোটি  টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন।

অগ্নি নির্বাপণে লাকসাম ফায়ার সার্ভিসসহ ৮টি ইউনিট দীর্ঘ ৫ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় এমপিসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নি নির্বাপনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ি সূত্রে জানা যায়,ওইদিন রাতে লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারের মনোহরী পট্টির একটি দোকান থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। হঠাৎ বিকট শব্দ হওয়ার পর মনোহরী পট্টির একটি দোকানে আগুন দেখতে পায় পথচারীরা।এতে তারা কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুন মুহুর্তের মধ্যে পুরো টিনশেড দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।খবর পেয়ে লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু মনোহরী পট্টি ও কাপড় পট্টিতে প্লাষ্টিক,নাইলনের জিনিস,আতশবাজি থাকায় এবং কাপড়ের গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ফায়ার সার্ভিসেরও নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। পরবর্তীতে কুমিল্লা সদর, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, বরুড়া, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি ও চাঁদপুরের হাজিগঞ্জসহ ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় স্থানীয় জনগন ও ব্যবসায়িরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৮ইউনিটের প্রায় পাঁচ ঘন্টা চেষ্টার পর ভোর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জুয়েলারী মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও গণেশ জুয়েলারীর মালিক সুভাষ বণিক এবং কাপড়িয়া পট্টির ডক্টর ক্লথ স্টোরের মালিক আবদুল কুদ্দুছ,মেসার্স আমিনুল ইসলাম,মের্সাস অমলেন্দু সাহা,সাজকন্যা কসমেটিকস্, মিঠু সুতা ঘরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িরা প্রায় ৩’শ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।

অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় এমপি মোঃ তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন, লাকসাম পৌর মেয়র প্রফেসর আবুল খায়ের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার মোবারক আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,এক পর্যায়ে টিনসেড ভবনে আগুণের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে আগুনে তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। পরে আমাদের সাথে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী থেকে আসা ৮টি ইউনিটের অব্যাহত চেষ্টায় ভোর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করলেও ক্ষয়-ক্ষতির ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি উপস্থিত থেকে আগুণ নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়েছি। অগ্নিকান্ডে প্রায় দুই শতাধিক দোকান-ঘর ভষ্মিভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় পাঁচ’শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির ধারণা করা হচ্ছে।

(সিএস/এএস/জানুয়ারি ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test