E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন কার্যক্রম

২০১৭ জানুয়ারি ২১ ১৮:২৪:৫৮
কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন কার্যক্রম

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : হালুয়াঘাটে ব্যবসা ও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। উপজেলার কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণার ৪ বৎসর অতিবাহিত হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন কার্যক্রম।

জানা যায়, গত ২০১২ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে দুটি স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছিলেন ২৫ একর জমি অধিগ্রহন, বিদ্যুৎ সংযোগ,ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট স্থাপন, ল্যান্ড কাস্টমস অফিসের অবকাঠামোসহ সেডঘর নির্মাণ,গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী সংযোগ সড়ক নির্মাণ, হালুয়াঘাট বাজার থেকে কড়ইতলী জিরো পয়েন্ট পযর্ন্ত রাস্তা প্রশস্ত করণের প্রতিশ্রুতি দেন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি গোবরাকুড়া কড়ইতলী বিদ্যুায়িত হয়েছে এবং দুটি স্থলবন্দরের সংযোগ সড়কের ১.৫০ কিলোমিটার রাস্তার মাটি কাটার কাজ হয়েছে। বাকি কাজ গুলো এই সরকারের আমলে বাস্তবায়নের কোন সমূহ সম্ভাবনা দেখছেন না বলে জানান কয়লা আমদাীনকারক সমিতির সদস্যরা।

এ বিষয়ে কড়ইতলী কোল এন্ড কোক ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সুরুজ মিয়া জানান, ১৯৮৯ সালে কড়ইতলী স্থলবন্দর দিয়ে সর্ব প্রথম কয়লা আমদানী শুরু হয় অত্র উপজেলায়। ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ৩ একর ভূমির উপর সম্প্রতি স্থাপন করেন নান্দনিক কড়ইতলী পিকনিক স্পট। স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও বন্দরের উন্নয়নকল্পে কোন পদপে নেওয়া হচ্ছেনা। স্থলবন্দর উন্নয়নের ইমিগ্রেশন চেক পোষ্ট স্থাপন এর মাধ্যমে সারা বছর এলসি স্টেশন চালু রেখে বিভিন্ন পন্য আমদানি রপ্তানি করতে স্থলবন্দর কতৃপক্ষ এন, বি, আর, এর নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

অপরদিকে, ১৯৯৭ সালে পহেলা জানুয়ারিতে গোবরাকুড়া স্থলবন্দরটি স্থাপিত হয়। দুটি স্থলবন্দরে জন্য বাইপাস সড়ক অতিব জরুরী। হালুয়াঘাট বাজারের রাস্তার আয়তন প্রশস্ত না থাকায় কয়লা বাহী ট্রাক আসা যাওয়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পোহাতে হয় সাধারন জনগন ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। দুটি স্থল বন্দরে প্রায় ৪/৫ হাজার শ্রমিকের কর্ম সংস্থান রয়েছে, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। বন্দরের চাহিদা সরূপ উন্নয়ন হলে দুটি বন্দর দিয়ে কয়লার পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য সামগ্রী আমদানী করা সম্ভব হবে । পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর রূপ কবে নাগাদ হবে, সেই আশার অপেক্ষায় উপজেলাবাসী।

(জেসিজি/এএস/জানুয়ারি ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test