E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মদনে স্কুলের সামনে ধান চাষ

২০১৭ জানুয়ারি ২৮ ১৫:০২:৫১
মদনে স্কুলের সামনে ধান চাষ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলা গঙ্গানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ না থাকায় স্কুলের সামনেই বাড়ান্দার সিঁড়ি ঘেঁষে ধান চাষ করায় শিক্ষার্থীরা বন্দি অবস্থায় ক্লাস করছে। মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে স্কুলের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের খেলা করতে হয়।

শনিবার বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বাড়ান্দায় ছেলেমেয়েরা ছোটাছুটি করছে। আর বাকিরা বাড়ান্দায় দাড়িঁয়ে ওদের ছোটাছুটি দেখছে। পাশের দুটি শ্রেণীকক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ চলছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৩ সনে ৩৩ শতক জমির ওপর এ বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ১৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকেই ডেপুটেশনের মাধ্যমে দুই জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। আবার বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বোরো আবাদের জন্য রযেছে একটি ড্রেন, ড্রেন থাকায় শিশুরা বন্দি হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠের জায়াগাটি আরেক মালিকের হওয়ায় জমিটি বর্গা দিয়েছেন। চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিহাব আল হাসান, হানিফ মিয়া জানায়, স্কুলের একটি ফুটবল আছে কিন্তু মাঠ না থাকায় আমরা খেলতে পারিনা। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, আসমা আক্তার জানায়, আগে ওই মাঠেই আমরা খেলতে হারতাম, এখন স্কুলে চুপচাপ বসে থাকি, না হয় বারান্দায় খেলি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মশিউর আলম বিদ্যালয়ের সামনে ধান চাষ এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খেলার মাঠ না থাকায় কোন পিটি করা যাচ্ছে না। মূলত ওই বিদ্যালয়টির ভবন ছাড়া আর কোন জায়াগা নেই, অপরিকল্পিত ভাবে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ধান চাষ না করার জন্য আমিসহ এলাকাবাসী জমির মালিককে বার বার বলেছি। কিন্তু সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

জমিদাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের জায়াগাটা বিদ্যালয়ের নয় ইহা ব্যক্তি মালিকের। এই জমিটি আমার ক্রয় করাও সম্ভব নয়, বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির অনুদান পেলে হয়ত জমিটি ক্রয় করে শিশুদের খেলার সুযোগ করে দেয়া যেতে পারে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন জানান, আমি গত কয়েক মাস হল এ উপজেলার দায়িত্ব পেয়েছি ,তবে এ বিদ্যালয়ের কত টুকু জায়াগা আছে তাও আমি জানি না। তবে বিষয়টি আমি দেখবো।

(এএমএ/এএস/জানুয়ারি ২৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test