E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গলাচিপায় মামলা করায় বাদীকে মারধর!

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৮:৪৮:২৬
গলাচিপায় মামলা করায় বাদীকে মারধর!

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্যাদাবাড়ীর আঃ মজিদ প্যাদার ছেলে শহিদুল প্যাদা (৪৫) কে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রোজ বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির দক্ষিণ পাশে তরমুজ ক্ষেতে গেলে হঠাৎ পিছন থেকে ২/৩ জন লোক এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকে। শহিদুল প্যাদা অজ্ঞান হয়ে নিজ জমিতে পড়ে থাকে। জেলে মন্নান পল্লান ঐ স্থান থেকে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে শহিদুল প্যাদাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মন্নান পল্লান তার বড় ভাইকে ফোন দিয়ে শহিদুলের স্ত্রীকে জানাতে বলে। শহিদুলের স্ত্রী ঘটনা স্থলে এসে কান্নাকাটি করলে এলাকার লোকজন এসে পড়ে। পরে শহিদুলকে গলাচিপা হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।

কর্মরত ডাক্তার মস্তফা সিকদার বলেন, শহিদুলের সারাশরীরে কালো কালো দাগ আছে, বুকে ও পিঠে চোট লেগেছে। শহিদুল আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলায় ১ নম্বর বেডে আছে।

এ বিষয়ে শহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ৩ জনে মেরেছে তাদের মধ্যে ২ জনকে চিনে ফেলেছি এরা আমারই ওয়ার্ডের আমার মামলার আসামীদের আত্মীয়। একজন রাজ্জাক মৃধার ছেলে আনোয়ার মৃধা অপরজন মোছলেম মাতব্বরের ছেলে তালেব মাতব্বর।

তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে ওদের বিরুদ্ধে হাজিরা ছিল। আমি যাতে না যেতে পারি তার জন্য আমাকে একা পেয়ে ওরা মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে এবং আমাকে মারধর করে আমার সারা শরীরে কীটনাশক ঔষধ ছিটিয়ে দেয়। এ বিষয় নিয়ে আনোয়ার মৃধা ও তালেব মাতব্বরের কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

ইউপি সদস্য মহিম মোল্লা বলেন, একটি মাছের ট্রলারকে কেন্দ্র করে এ মারামারি হয়েছে এবং মারামারির সত্যতা স্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি দেখব।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ রাজ্জাক মোল্লা বলেন, অভিযোগ পেলে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে শহিদুল জানান।

(এসডি/এএস/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test