E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দৌলতপুরে স্ত্রীকে আটকে রেখে স্বামীকে হয়রানী, ভয়ভীতি প্রদর্শন

২০১৪ জুন ১৭ ১০:০৪:১৭
দৌলতপুরে স্ত্রীকে আটকে রেখে স্বামীকে হয়রানী, ভয়ভীতি প্রদর্শন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্ত্রীকে কৌশলে আটকে রেখে নানান অজুহাতে স্বামীকে হয়রানী ও তালাক দেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ গ্রামে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ গ্রামের সাজদার রহমানের ছোট মেয়ে শিরিন সুলতানার সাথে পারিবারিক সম্মতিতে ভেড়ামারা উপজেলার চর দামুকদিয়া গ্রামের আকাতুল্লাহর বিদেশ ফেরত ছেলে শফিকুল ইসলামের সাথে বিবাহ দেয়া হয়। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে ঘর-সংসার শুরু করে শিরিন-শফিক।

এর মধ্যে শফিকের সরকারী চাকুরীজীবি বড় ভায়রা ইসমাইল হোসেন বেড়াতে যায় ভেড়ামারায়। সদ্য বিদেশ ফেরত শফিকুল ঘর-বাড়ির কাজ শেষ করতে না পারায় অখুশী হন ইসমাইল হোসেন। বাড়ি-ঘর নাই অজুহাতে শালিকা শিরিনকে ঘর-সংসার না করার কু-পরামর্শ দেয় দুলাভাই। শিরিন-শফিকের বিয়ের ১০দিনের মাথায় শিরিন বিএ পাস পরীক্ষা দেয়ার জন্য ফিরে আসে বাবার বাড়ি। স্ত্রীর উচ্চশিক্ষার কারণে সেদিন বাধা দেয়নি শফিক।

কিন্তু বিধি বাম! সুখের সংসারে দুঃখের কাটা দুলাভাইরা গোপনে আটকিয়ে রেখে শফিককে তালাক দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে শিরিনকে। পরীক্ষার মধ্যে শফিক শ্বশুরবাড়ী দুএকদিন গেছেও। বিষয়টি শিরিন শফিককে গোপনে জানায় তার সাথে ঘর-সংসার করতে দেবেনা দুই দুলা ভাই ইসমাইল হোসেন ও রনি রহমান। পরীক্ষা শেষে স্ত্রীকে আনতে কয়েকবার শ্বশুর বাড়ী গেলেও শিরিনের কোন খবর তারা দেয়নি তাকে।

বরং স্ত্রীকে দাবি করলে বড় ভাইরা ইসমাইল হোসেন ও ছোট ভাইরা রনি একটি বিশেষ বাহিনীতে চাকুরী করার সুবাদে বিভিন্ন সময় শফিককে প্রাণনাশ সহ নানান ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঢাকায় ছোট ভাইরা রনির বাসায় শিরিন আছে খবর পেয়ে আনতে গেলে বাসায় শিরিন নাই বলে তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।

বর্তমানে শ্বশুর আর ভায়রাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শফিক। বিষয়টি সমাধানের জন্য ও স্ত্রীকে ফেরত চেয়ে শফিকুল ইসলাম গত ৮/৬/১৪ইং তারিখে ভেড়ামারা থানায় একটি জিডি দায়ের করে। এব্যাপারে বড় ভাইরা ইসমাইল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শ্যালিকা শিরিনকে আটকিয়ে রেখে শফিককে তালাক দিতে চাপ সৃষ্টি করা ও শফিককে প্রাণনাশ সহ নানান ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। শিরিন শফিককে পছন্দ না করায় ইতোমধ্যে তাকে তালাক দিয়েছে।

খুব শীঘ্রই তালাকের কাগজ পেয়ে যাবে শফিক। বিয়ে দুটি মনের মহামিলন। এখানে কেউ যদি কাউকে পছন্দ না করে তাহলে তো আর ঘর-সংসার হয় না। শিরিন-শফিকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। নানান হয়রানির স্বীকার শিরিনের স্বামী শফিকুলের দাবি আমি স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই। যদি সে আমার ঘর-সংসার না করে তাহলে আদালতের মাধ্যমে যৌথভাবে সমাধান করতে হবে।

(কেএইচ/জেএ/জুন ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test