এমপি রানাকে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আবার পিছিয়েছে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী টাঙ্গইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে বুধবার আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে তিনবার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছাল।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে বুধবার শুনানি গঠনের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু এমপি রানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাজির না করায় আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য পরবর্তী আগামী ১৫ মার্চ নতুন তারিখ ধার্য্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আমানুর রহমান খান রানা এমপি গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে তাঁর কলেজ পাড়া বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। বিগত ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সাবেক ছাত্রনেতা সানিয়াত খান বাপ্পা বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর, তাঁর তিন ভাই জাহিদুর রহমান খান কাকণ, সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। গত ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহন করে।

(এমএনইউ/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭)