E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খুলনা ‘বিভাগীয় জয়িতা’ :মর্জিনার ঘুরে দাড়াবার গল্প

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২০ ১৬:০৪:০৬
খুলনা ‘বিভাগীয় জয়িতা’ :মর্জিনার ঘুরে দাড়াবার গল্প

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মর্জিনা বেগম হাজারো বাধা ও প্রতিকুলতা পেরিয়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।

বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচিত মর্জিনা মাত্র ১ বছর বয়সে তার মাকে হারিয়ে জীবনের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। শরণখোলা উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের মৃত আঃ রশিদ মোল্লার মেয়ে মর্জিনা শিশুকালে মাকে হারিয়ে ভাইদের আদর ¯স্নেহে বড় হয়ে ওঠতে থাকেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণি পাশ করার পর লেখাপড়া ছেদ পড়ে। দমে যায়নি মর্জিনা ভাইদের সহযোগিতায় আবারও শুরু করে পড়াশুনা। অনেক বাধা আর প্রতিকুলতা পায়ে মেড়ে পড়াশুনা চালিয়ে বর্তমানে ৪ বছর মেয়াদী কৃষি ডিপ্লোমা কোর্সের শেষ সেমিষ্টারে অধ্যয়নর। তবে, ৯ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ২০০১ সালে বিয়ে করতে হয়েছে মর্জিনাকে। নিজের দৃঢ় মনোবল নিয়ে স্বামী উপজেলা মৎম্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান ফরাজী ও ভাইদের সহযোগীতায় র্দূগম পথ পেরিয়ে আসতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন জয়িতা মর্জিনা।

নারীদের অধিকার আদায় ও স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে নিজ গ্রামের ২০ নারীকে নিয়ে ২০০৯ সালে গঠন করেন ‘শরণখোলা দরিদ্র মহিলা উন্নয়ন সংগঠন’। প্রথমে প্রতি মাসে সামান্য পরিমান টাকা জমা করে মহিলাদের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেন। এভাবে মÍ্র ২-৩ বছরের মধ্যে নারীদের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার মর্জিনার ম্যাজিক দেখে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর নারীরাও তার সংগঠনে সম্পৃক্ত হয়। মর্জিনার নেতৃত্বে তার সংগঠনটি ২০০৯ সাল থেকেই মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাভ করে। এরপর শুদুই ঘুরে দাড়াবার গল্প। শরণখোলা দরিদ্র মহিলা উন্নয়ন সংগঠনের সহা¯্রাধিক নারী এখন সবজি ও মাছ চাষ, কুটির শিল্পের বিভিন্ন কাজ, মুগরী পালনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে ওই সকল নারীদের পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনছেন। এসব সামাজিক কর্মকান্ডে অসামান্য অবদান রাখার জন্য গত নভেম্বর মাসে শরণখোলা উপজেলা, বাগেরহাট জেলা ও খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসাবে নির্বাচিত হন মর্জিনা।

জয়িতা মর্জিনা বলেন, সব বাধা পেরিয়ে আমি দারিদ্রতার মধ্যে থেকেও নারীদের অধিকার আদায় ও স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কাছ করেছি। আমার সামাজিক কর্মকান্ডের মূল্যায়ন করে যেসব কর্মকর্তারা উপজেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই অর্জন আগামীতে আমাকে নারীদের নিয়ে কাজ করতে আরো উৎসাহিগত করবে। আমার সামাজিক সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এজন্য আমি সকলের আরো বেশি করে সহযোগিতা চাই।








(এসএকে/এস/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test