চাটমোহরে স্কুলছাত্রীসহ দু’জনের আত্মহত্যা

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ও অমৃতকুন্ডা গ্রামে সোমবার একই দিনে স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূ গলায় ফাঁস  ও বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাঁটাখালি কান্দিপাড়া গ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বর্ষা খাতুন (১২) নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্য করে।
বর্ষা পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। কাটাখালী কান্দিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। সে বেশ কিছুদিন যাবত কাঁটাখালি গ্রামে চাচা জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো।

অপর দিকে মূলগ্রাম ইউনিয়নের অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার) গ্রামে দুই সন্তানের জননী কাকলী খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূ কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। সে অমৃতকুন্ডা গ্রামের কিতাব প্রামাণিকের স্ত্রী ও রাজশাহীর হরিয়ান এলাকার বেগার হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায় , সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বর্ষাকে ডাকতে গেলে তার শোবার ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে স্বজনরা তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করলে ঘরের ডাবের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

গৃহবধু কাকলী বেশ কিছুদিন যাবত প্রতিবেশী জনৈক এক বিবাহিত যুবকের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কথা এলাকায় ছড়িয়ে পরে। এ নিয়ে সোমবার সকালে প্রতিবেশী জনৈক ওই যুবকের স্ত্রী কাকলীর বাড়িতে এসে তাকে শাসিয়ে যায়। বিষয়টি প্রতিবেশী সহ বেশ কিছু মানুষের মাঝে জানা জানি হলে ক্ষোভে লজ্জায় ঘরে রাখা কীটনাষক পান করে ওই গৃহবধূ। খবর পেয়ে লাশ দু’টি সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আহসান হাবীব জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। স্কুলছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং কাকলী খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএইচএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭)