E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শরীয়তপুরে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ

২০১৭ মার্চ ০১ ১৪:৩৫:৪৩
শরীয়তপুরে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারেণ শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সুজান দোয়াল গ্রামে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের বসত বাড়িতে বর্বরচিত হামলা চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে একটি পরিবারকে। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে একই গ্রামের সুমন মাদবরের পরিবারকে ফজল মাদবর গং এই হামলা চালিয়ে উচ্ছেদ করেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনার সংবাদ পেয়ে পালং থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজান দোয়াল গ্রামের মৃত রবিউল্লাহ মাদবরের ছেলে নুরুল হক মাদবর ও ফজল মাদবরদের সাথে মৃত কাদির মাদবরের ছেলে আলহাজ মাদবর ও সুমন মাদবরের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা ও একাধিকবার স্থানীয় ভাবে সালিশ দরবার হয়েছে। কোন মিমাংসা না হওয়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন আলহাজ মাদবর ও সুমন মাদবরের বসত ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ সময় বাড়িতে থাকা একটি কুকর ও গৃহপালিত পশু পাখির গলা কেটে হত্যা করা হয়।

সুমন মাদবর বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমরা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। আমাদের একই বংশের ফজল হক মাদবর নুরুল হক মাদবরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। এলাকায় একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়েছে। আমাদের বৈধ সম্পত্তি প্রমাণিত হওয়ায় সালিশরা উপস্থিত থেকে আমাদের ঘর নির্মাণ করে দেয়।

মঙ্গলবার গভীর রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির মাদবরের নেতৃত্বে নুরুল হক মাদবর, আফজাল মাদবর, ফজলুল হক মাদবর, আব্বাস মাদবর, রাজ্জাক মাদবর সহ শতাধিক লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় এবং পুকুরে ফেলে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা আমাদের তিনটি বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে। এ ঘটনায় আমার মা ফিরোজা বেগম গুরুত্ব আহত হয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

ফজলুল হক মাদবর বলেন, জমি নিয়ে অনেকদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। আদালতের মাধ্যমে বা স্থানীয় ভাবে আমরা কোন সমাধান পাইনি। তাই গত রাতে আমাদের কিছু ছেলেপেলে ঘর ভাংচুর করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির মাদবর বলেন, আমি এ ঘটনার কিছুই জানিনা। রাতে ভাংচুরের শব্দ পাই। রাতের আধারে ভয়ে আমরা কেউ এগিয়ে যাইনি। পরে পুলিশ আসলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই আলহাজ ও সুমনের বসত ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অন্যায় করেছে।

পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে বসতঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(কেএনআই/এএস/মার্চ ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test