E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রডের বদলে বাঁশ

২০১৭ মার্চ ০৫ ১৭:১৩:১১
লোহাগড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রডের বদলে বাঁশ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : উপজেলার নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে রডের বদলে বাঁশের ব্যবহার নিয়ে  তোলপাড়ের সুষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রচার হওয়ায় সকলের নজরে আসে।

সম্প্রতি স্কুল ভবনের ঢালাই ও প্লাস্টার খসে বাঁশের অংশবিশেষ বের হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। বাঁশের পাশাপাশি স্কুল ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভবনের মেঝে ডেবে গেছে। আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনেই চলছে প্রায় দুই শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে। যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে ভবনটি।

রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ২৯ নং নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল ও বাঁশ বের হয়ে যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে আসতে চাচ্ছে না স্কুলে। বিষয়টি তদন্ত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদার, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সচেতন মহল।

স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৬ সালে। ২০০৩ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে বিদ্যালয়ের পূর্ননির্মাণ কাজ করা হয়। ছাপা ও নাজির নামের দুই ব্যক্তি ঠিকাদার ছিলেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। ভবন নির্মাণের সময় রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করেছেন তারা।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি ভাঙ্গার পর সেটির ইট, রড,টিন সব কিছুই টে-ার ছাড়াই বিক্রি করা হয়। যার কোন সঠিক হিসেব আজও পাওয়া যায়নি বলে জানান এলাকাবাসী।

বিদ্যালয়ের এই বেহাল দশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কাজী রবিউল ইসলাম উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটির ছাদে ফাটল, মেঝে ডেবে যাওয়া ও ভবনের পিলারসহ কয়েক স্থানে বাঁশ বের হওয়ার ঘটনাটি সত্য। তবে এটা ভয়ের কিছু নাই। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফাটলের স্থানগুলো সংস্কার করে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। বেশ আগে থেকেই ছাদ দিয়ে পানি পড়তো, সেটিও সংস্কার করা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এ.এস.এম সালেকিন বলেন , তদন্ত করে বিষয়টির সুরাহা হওয়া উচিত।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনি’র নিকট ভবন নির্মাণের দাপ্তরিক ফাইল,প্রকৌশলী ও ঠিকাদার কে ছিলেন ? সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তথ্য না দিয়ে টালবাহানা করে কৌশলে এড়িয়ে যান।

(আরএম/এসপি/মার্চ ০৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test