E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন জুয়েল আহমেদ

২০১৭ মার্চ ০৬ ১৮:৫২:১৮
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন জুয়েল আহমেদ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে জুয়েল আহমেদ নামে এক মেধাবী তরুণ টাঙ্গাইলে ৪ টি অবৈতনিক ফ্রেন্ডশিপ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই তরুণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। ২০১২ সালে জুয়েল আহমেদ একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিজ বাড়ি আদি টাঙ্গাইলে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের প্রথম শাখাটি চালু করেন।

সেই সময় জুয়েল আহমেদ তার নিজের ও আশেপাশের এলাকার প্রায় ২৯ জন ঝরে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে খুজে বের করে তার ওই স্কুলে ভর্তি করান ও পড়ালেখার সুযোগ করে দেন। তার সাধ্য অনুযায়ীই এই শিশুদেরকে শিক্ষা উপকরণ দিতে থাকেন। তখন এই স্কুলে ৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকা পাঠদান করাতেন।

স্বপ্নবান মেধাবী তরুণ জুয়েল আহমেদ ইংরেজি মাধ্যমের কয়েকজন ছাত্র পড়িয়ে যে সামান্য সম্মানী পেতেন, তা দিয়েই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অল্প কিছু সম্মানী তথা কোন রকমে স্কুলটি চালাতেন। বর্তমানে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের ৪ টি শাখায় প্রায় ৪০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশু বিনাবেতনে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমানে ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে ৪টি শাখায় ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে।

জুয়েল আহমেদ আউটসোর্সিং, সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রিসার্চ করে যে সম্মানী পান, তা দিয়েই তার এ স্কুলগুলো কোন রকমে চলছে। এত অল্প বয়সী তরুণের এই ধরনের জ্ঞান বিতরণী কাজ করছেন- যা বিস্ময়কর। বিশ্ব শান্তি কামনায় জ্ঞান বিতরণে এই তরুণের এ উদ্যোগ একটি রোল মডেল। এই তরুণের স্বপ্ন পর্যায়ক্রমে একদিন সমগ্র বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশু মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তাঁর এই স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত বলে অনেকেই মনে করেন। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে এই তরুণের স্বপ্ন তথা সমাজ খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল টাঙ্গাইল শহরের হাউজিং বস্তিতে অবস্থিত ফ্রেন্ডশীপ স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র মো. জামিলুর রহমান মিরণ বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জুয়েলের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার। তিনি ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। তবে সমাজের সবাই এগিয়ে এলে এই স্কুলগুলোকে টিকিয়ে রাখা তথা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এই তরুণ যে কাজ করছে তা দেখে সত্যিই আমি বিস্মিত হয়েছি। আশা করি, জুয়েল সবাইকে নিয়ে একদিন সমগ্র বিশ্বে এই কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।

(আরকেপি/এএস/মার্চ ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test