E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই গবাদি পশু জবাই

২০১৭ মার্চ ৩১ ১৪:৪৫:১০
চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই গবাদি পশু জবাই

সঞ্জিব দাস, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর গলাচিপাতে পশু সম্পদ বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়াই প্রকাশ্যে বিভিন্ন শহর থেকে বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে জবাই করা হচ্ছে গবাদিপশু। জবাই করা পশুর শরীরে রোগ বালাই রয়েছে কিনা এমন কোন সঠিক ধারনা নেই ক্রেতা কিংবা বিক্রেতাদের। এক দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকা। অন্যদিকে জন সচেতনতার অভাবে মধ্যদিয়ে  চলছে উপজেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত এলাকায় মাংস ক্রয় বিক্রয়।

এ ব্যাপারে প্রশাসন ও পশু সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকেও কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। নিয়ম অনুযায়ী বিক্রির জন্য পশু জবাই করার আগে প্রাণী সম্পদ বিভাগের চিকিৎসক ওই পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা নীরিক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর রানে সিল দিবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর সভার পূর্ব বাজার মাংস পট্টি বিভিন্ন চিত্র। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জবাই করেছে গরু ছাগল। এরপর জবাই করা পশুর মাংস ক্রাতাদের উদ্দেশ্যে বাজারে ঝুলিয়ে রাক্ষা হয়েছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রয় হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা আর প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।

এ ব্যাপারে মাংস ক্রেতারা জানিয়েছেন, রোগ আক্রান্ত পশুর মাংস সেবনের ফলে শরীরে নানা ধরনের রোগ বালাই সৃষ্টি হতে পারে। তাদের জানা থাকলেও ক্রয়কৃত পশুর মাংস চিকিৎসক কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে কিনা তা তাদের জানা নাই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গলাচিপা পৌরসভা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত কয়েকটি ছোট বড় হাট বাজারে একই অবস্থা। চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই জবাই করা পশু হাট বাজারে প্রকাশ্যে ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।

পৌরসভা থেকে ইউনিয়নে বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের দোকানে পশু সম্পদ বিভাগের কোন চিকিৎস ২-১ বছরের যায়নী ব্যবসা টিকিয়ে রাক্ষার জন্য কোন ধরনের পরক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই তারা গরু, ছাগল জবাই করে ক্রয় বিক্রয় করে আসছেন। তবে বাজারের মাংস বিক্রেতাদের দাবি তারা রোগ মুক্ত গরু ছাগল জবাই করেছেন।

ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, পশুর কোন ধরনের রোগ বালাই হওয়ার গুন গুন হলে ক্রেতার সংখ্যা কমে যায়। এর কারন বলে তারা মনে করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রোগ নিয়ে কোন ধরনের প্রচার প্রচারনা ও তদারকি না থাকার ফলে মাংস ক্রেতারাদেরও সংখ্যা কমে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইমরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি সকল মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

(এসডি/এসপি/মার্চ ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test