E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজধানীতে রমজানে পানির কোনো সংকট থাকবে না

২০১৪ জুন ১৯ ১৬:০২:১৩
রাজধানীতে রমজানে পানির কোনো সংকট থাকবে না

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন রমজান মাসে রাজধানীতে পানি কোনো সংকট থাকবে না। নগরবাসীর পানি সংকটে ওয়াসা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। একই সঙ্গে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও ওয়াসা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।

কথাগুলো বলেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাক সিম এ খান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা ওয়াসার করফারেন্স রুমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিমিয় সভায় তিনি একথাগুলো বলেন।

ওয়াসার এমডি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নগরীর পানি সমস্যা সামাধানের জন্য আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তেমনি রমজান মাসেও পানির সমস্যা নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি। ওয়াসার কর্মীরা পানির সমস্যা সমাধানে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। তারপরও কিছু কিছু এলাকায় পানির সমস্যা থাকছে। কারণ সব সময় গড়ে ওয়সার ৬টি পাম্প নষ্ট থাকে। ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ৯০ হাজার লোক পানি সংকটে পড়েন। আমরা যখন যে এলাকায় পানির সমস্যা হচ্ছে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ওয়াসার প্রতিদিন পানি উৎপাদনের সক্ষমতা আছে ২৪২ কোটি লিটার। নগরবাসীর চাহিদা আছে ২১৪ থেকে ২৩০ কোটি লিটারের। চাহিদার চেয়ে আমরা বেশি পানি উৎপাদন করছি। কিছু সমস্যার কারণে কোনো কোনো এলাকায় পানির সংকট দেখা দেয়। কিন্তু সমস্যার কথা শোনা মাত্রই আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, রমজানে নগরীতে পানির সমস্যা হলে ভূক্তভোগীরা ১৬১৬২ নাম্বারে ফোন করে অভিযোগ করতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এছাড়াও রমজান শুরুর আগেই আমরা নগরীরর বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় করবো। কোনো মসজিদে পানি না থাকলে ইমামরা ওয়াসার টেলিফোনে অভিযোগ করতে পারবেন। এছাড়া পানির সমস্যা সামাধানে ওয়াসার ১১টি জোনে সার্ভিলেন্স টিম কাজ করবে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকাতে ট্রলির মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে।

ওয়াসার এমডি বলেন, নগরীর পানির সমস্যা সামাধানে ভূ-পৃষ্টের পানি ব্যবহারের জন্য আমরা বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এখন ওয়াসা গভীর নলকূপের মাধ্যমে ৭৮ ভাগ পানি উত্তোলন করে থাকে। ২০১৯ সালের মধ্যে ওয়াসা মাত্র ৩০ ভাগ পানি গভীর নলকূপ দিয়ে তুলবে। ৭০ ভাগ পানি তোলা হবে ভূ-পৃষ্টের উৎস থেকে। এজন্য পদ্মা থেকে পানি এনে শোধন করে নগরবাসীকে সরবরাহ করা হবে। এজন্য ওয়াসা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৪৫ কোটি লিটার পানি নতুন করে যোগ হবে। মেঘনা থেকে পানি উত্তেলন করে নগরীরবাসীর সরবরাহের জন্য আরেকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নগরবাসীর যাতে পানি সংকট না হয় এজন্য সায়েদাবাদ-৩ নম্বর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প ভূ-পৃষ্টের উৎস থেকে সংগ্রহ করে পানি শোধন করা হবে।

ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- ডিএমডি আতাউর রহমান, সৈয়দ গোলাম আহমেদ, এসবিএম কামরুল আহসান চৌধুরী এবং ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী বজলুর রহমান।


(ওএস/এটিআর/জুন ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test