E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আজাদ বাহিনী থেকে বাঁচার জন্য সংবাদ সম্মেলন

২০১৪ জুন ১৯ ১৭:৫৯:০২
আজাদ বাহিনী থেকে বাঁচার জন্য সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সুন্দরবনের কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক সম্রাট বনদস্যু আজাদ বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বনজীবি লক্ষাধিক মানুষ। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।

তার হাত থেকে নিরাপদে বাচতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী শ্যামনগর উপজেলার যতীন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল আলীম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যতীন্দ্রনগর গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ঁেছলে বনদস্যু আজাদ কিশোর বয়স থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মানুষকে হয়রানি করে আসছে। ১৯৯০-৯২ সাল থেকে সে বনদস্যুতা, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। শুরু থেকে প্রশাসনের বাধা না পেয়ে সে আজ শীর্ষ ডাকাতে রুপান্তরিত হয়েছে। যাকে তাকে অপহরণ করা, মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করা তার কাছে মামুলি ব্যাপার। তার অন্যতম সহযোগী এবং আশ্রয়দাতা তারই আপন বড় বোন (চার-পাঁচ স্বামী পরিত্যাক্তা) নুরজাহান বেগম। এলাকার মানুষ প্রতিরোধ করতে গেলে তাদেরকে হয়রাণীর নেতৃত্ব দেয় এই নুরজাহান বেগম।

এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করলে নুরজাহান,তার মেয়েদের নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে হেনস্তা করে প্রতিবাদকারীকে। এই নুরজাহান আজাদের প্রধান অস্ত্র হেফাজতকারী। সে এলাকার চিহ্নিত গাঁজা ও মাদক ব্যবসায়ী। নুরজাহানের আসকারা পেয়ে পেয়ে আজাদ এলাকায় বনদস্যুতা, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মগডালে উঠে পড়েছে। এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বর, রাজনৈতিক নেতারাও আজাদ বাহিনীর কাছে জিম্মি। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন হযেছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এখন সে ভয়ংকর মূর্তি নিয়ে এলাকায় আবির্ভুত হয়েছে। বনজীবি ও মৌয়ালরা চাঁদা না দিয়ে বনে ঢুকতে পারছে না। সুন্দরবনে যাওয়ার আগে আজাদ বাহিনীর সাথে দশ থেকে বিশ হাজার টাকার চুক্তি করতে হয়। আজাদ বাহিনী এখন প্রকাশ্য ঘোষণা দিচ্ছে- পুলিশ বাহিনী তার কথায় চলে।

আব্দুল আলীম আরো বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনের শুধু মুখের আশ্বাস বাণী শুনতে চাইনা, কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই।

(আরকে/এটিআর/জুন ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test