ঢাকা-কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেসের সাথে পুস ট্রলির সংঘর্ষ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : আর্ন্তজাতিক রুটের ঢাকা হতে কলকাতাগামী “মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সাথে রেল লাইন পরীক্ষারত পুস ট্রলির সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকালেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে শত শত যাত্রীর প্রাণ।

ট্রেনেরও বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্তা ব্যক্তিরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা ১১.৩৮ মিনিটে মূলাডুলি- চাটমোর রেলষ্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায়।

রেল সূত্র জানায়, ঢাকার কমলাপুর ষ্টেশন হতে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস সকাল ৮.১৫মিনিটে ছেড়ে আসে। এদিকে ঈশ্বরদী ষ্টেশন হতে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব একটি পুস ট্রলি নিয়ে (শ্রমিক কর্তৃক ঠেলে চালানো) রেল লাইন পরীক্ষা করতে করতে মূলাডুলি ষ্টেশন পার হয়ে চাটমোহরের দিকে রওনা হয়। আর বিপরীত দিক হতে মৈত্রী এক্সপ্রেস চাটমোহর ষ্টেশন অতিক্রম করে আসার পর লাইন বাঁকা থাকায় ট্রলিতে অবস্থানকারী কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা দ্রুত ট্রলি হতে নেমে গেলেও ট্রলিটি লাইনের উপর থেকে যায়।

এসময় মৈত্রী এক্সপ্রেসের সাথে ট্রলির সংঘর্ষ হয়। মৈত্রী এক্সপ্রেসের চালক দ্রুত ব্রেক করলেও ট্রলির চাকা ইঞ্জিনের মধ্যে ঢুকে বেশ কিছু দূরে যেয়ে থেমে যায়। এতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের এয়ার ব্রেক হুস পাইপ ফেটে যায়। পরে ব্রেক ছাড়াই ট্রেনটিকে ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনে এনে নতুন করে এয়ার ব্রেক পাইপ লাগানো হয়।

ঈশ্বরদী ষ্টেশনে অবস্থানের সময় ভীত সন্ত্রস্থ যাত্রীরা জানান, আজ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলাম। সংঘর্ষের সময় যাত্রীরা ভীত হয়ে এসময় কান্নাকাটি ও চিৎকার চেঁচামেচিতে ট্রেনে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। ওই সময় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে গেলে বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে তারা জানান। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, যেহেতেু আর্ন্তজাতিক এই ট্রেন আসার মূহুর্তে কিভাবে মূলাডুলি ষ্টেশন মাষ্টার পুস ট্রলির লাইন ক্লিয়ার দেয়ায় এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

পুস ট্রলির লাইন ক্লিয়ার দেয়ার বিষয় সম্পর্কে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, পুস ট্রলির জন্য কোন লাইন ক্লিয়ারের প্রয়োজন হয়না। শুধু ষ্টেশন মাষ্টারকে অবহিত করলেই হয়।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী ষ্টেশন হতে দুপুর ১২টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এক ঘন্টা বিলম্বে ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। বিলম্ব প্রসংগে ডিআরএম অসীম তালুকদার জানান, ট্রেনটি আগে হতেই ৩৫ মিনিট বিলম্বে চলাচল করছিল। এই ঘটনার জন্য ২৫মিনিট অতিরিক্ত বিলম্ব হয়েছে। এই ঘটনায় বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিল মহসীনকে আহব্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিন।


(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০১৭)