E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ত্রিশালে প্রবাসীর ৭০লাখ টাকা আত্মসাৎ, থানায় মামলা

২০১৭ এপ্রিল ২৪ ১৭:২২:১৩
ত্রিশালে প্রবাসীর ৭০লাখ টাকা আত্মসাৎ, থানায় মামলা

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশালে আয়ারল্যান্ড প্রবাসী মোঃ আফসার উদ্দিনের ৭০লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের। টাকা দিতে অস্বীকৃতি ও প্রবাসী আফসার উদ্দিনকে হয়রানির অভিযোগ।

জানা যায়, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার নাবির বহর গ্রামের রাইস উদ্দিনের ছেলে আয়ারল্যান্ড প্রবাসী মোঃ আফসার উদ্দিনের সিঙ্গাপুরে এমএম রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাটারী নামক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ১০মাস পুর্বে মোঃ এনামুল হককে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মোঃ এনামুল হক ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নওপাড়া গ্রামের নূর মোহাম্মমের ছেলে। অভিযোক্ত এনামুল হক ৭ মাস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এমএম রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাটারী কাস্টমারদের নিকট পাওনা থাকা ৭০লাখ টাকা সংগ্রহ করে। পরে কিছুদিন সিঙ্গাপুরে আত্বগোপন করে ৭০লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে।

মামলার বিবরণীতে আরো জানাযায়, এমএম রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাটারীর মালিক আফসার উদ্দিন দেশে এসে ২ এপ্রিল অভিযুক্ত এনামুল হকের বাড়ীতে গিয়ে টাকার কথা জানতে চাইলে সে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে। এবং টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামলার প্রধান আসামী এনামুল তার বসত ঘরে চানু ক্বরী, আইয়ুব আলীসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন প্রবাসী আফসারকে অবরুদ্ধ করে মারধর করে। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে এনামুল টাকার কথা স্বীকার করে সময় চেয়ে ষ্টেম্পে চুক্তি করে। পরবর্তী চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দিয়ে প্রবাসী আফসার উদ্দিনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। এ সময় টাকার জন্য এনামুলের বাড়িতে গেলে মারধর করে আটকে রাখলে ত্রিশাল থানায় সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রবাসীকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রবাসী আফসার উদ্দিন এ ঘটনায় ২০ এপ্রিল এনামুল হককে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও এনামুলের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় রাজমিস্ত্রির ১২ লাখ টাকা আত্বসাৎ ও আদম ব্যবসার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা বলে ৭ লাখ টাকা আত্বসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ত্রিশাল থানা পুলিশ।

এ ব্যপারে প্রবাসী আফসার উদ্দিন বলেন সিঙ্গাপুরে আমার প্রতিষ্টানে চাকরীরত অবস্থায় ৭০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে। পরে দেশে এসে টাকার জন্য বিভিন্নভাবে বললেও টাকা না দিয়ে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে। অভিযুক্ত ফারুকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

ত্রিশাল থানা অফিসার ইন্চার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে।

(এমএন/এএস/এপ্রিল ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test