E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নোয়াখালীতে স্ত্রীর হাতে স্বামী ও ছেলের হাতে বাবা খুন

২০১৭ মে ০৭ ১২:৩৬:৪৭
নোয়াখালীতে স্ত্রীর হাতে স্বামী ও ছেলের হাতে বাবা খুন

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলায় ২ সন্তানের জননীর হাতে নির্মম ভাবে খুন হলেন অসহায় স্বামী। ঘটনাটি ঘটে সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে।

স্বরজমিনে গিয়ে জানাযায়, উক্ত গ্রামের শাহ আলমের পুত্র শহিদ উল্যাহ (৩৩) এর সাথে একই গ্রামের মৃত ইলিয়াসের কন্যা শরিফা বেগম (২৭) এর সাথে ৭ বছর আগে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়, বেশ কয়েক বছর সংসার বেশ সুখেই চলছিল, সম্প্রীত শরিফা খাতুন জানতে পারেন স্বামী শহিদ উল্যাহ আরেকটি বিয়ে করেছেন এ নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

গতকাল সকালে উপরোক্ত বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্য ঝগড়া ঝাটি হয় রাতে সামাজিক গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এটি সালিশের বৈঠক করে এতে তারা জানতে পারেন শহিদ উল্যাহ বিয়ের বিষয়টি ছিল মিথ্যা এতে শরিফা খাতুন মানতে নারাজ হওয়ায় শহিদ উল্যাহকে কে তার বাবার বসত ঘরে থাকতে বলেন বিচারকারিরা। রাতে শহিদ উল্যাহ তার বড় মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর রাত ৩টার সময় ঘাতক শরিফা বেগম তার ঘর থেকে উঠে এসে শহিদের ঘরে দরজা কড়া নেড়ে তার শাশুড়িকে বলেন আমি আমার স্বামীর সাথে থাকবো। পরে তিনি ঘরে প্রবেশ করে শহিদ উল্যার সাথে শুয়ে পড়েন। রাত ৪টার সময় ঘরে থাকা দা নিয়ে সহিদ উল্যাহকে কোপ মারে।

এতে শহিদের গলার অধিকাংশ কেটে যায়। সে বাচার জন্য ধস্তাধস্তি করে। এদিকে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে শিশু সালমার চিৎকারে ঘরের অন্য সদস্যরা উঠে শরিফাকে আটক করে। এবং শহিদকে মাইদজী জেনারেল হাসপালে প্রেরণ করে। হাসপালে যাওয়ার পথেই সে মারা যায়। ঘাতকের হাতে ২টি বিষের বোতল পাওয়া যায়। সবাই ধারনা করছেন স্বামীকে মেরে নিজে বিষপানে আত্তহত্যা করার উদ্দ্যশ্য ছিল তার।

এব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার রুহুল আমিন জানান, খুনের বিষয়টি আমরা শুনেই ঘটনার স্থলে ছুটে আসি, তাদের মধ্য দির্ঘদিন থেকে পারিবারিক ভাবে কলহ ছিল পরে সামাজিক সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছি, কিন্ত ঘাতক মানতে রাজি হয়নি তাই সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই খুনটি করেছে। তাদের ঘরে সালমা (৫) এবং জাহেদ ( ১) ছেলে সন্তান রয়েছে ।

চরজব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, সহিদ ও তার স্ত্রী শরিফা খাতুনে মধ্যে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। রবিবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে সহিদের গলায় কোপ দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এরপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শরিফা। আটকের পর তাকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শহিদের মৃত্যুতে তার বাবা মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মৃতের ভাইবোন, এলাকায় চলছে শোকের মাতম, এলাকাবাসি জানান সহিদ খুব সাদাসিধে যুবক ছিলেন কোনদিন কারো সাথে বাকবিতণ্ডা হয়নি। অবুঝ ২ শিশু নিথর হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়, শিশু কন্যারটির পুরো গায়ে লেগে রয়েছে বাবার তাজা রক্ত।

এদিকে বেগমগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাবাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেগমগঞ্জ থানার ওসি সাজিদুর রহমান জানান, খাজুরতলা গ্রামের বেলায়েত হোসেন(৬০) ও তার ছেলে ইয়াসিনের মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার রাতে বাকবিন্ডার এক পর্যায়ে ইয়াসিন লাঠি দিয়ে বেলায়েতের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর ছেলে পালিয়ে যায়।

(আইইউএস/এসপি/মে ০৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test