E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মদনে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে স্বাবলম্বী ইয়াসিন মিয়া

২০১৭ মে ১৭ ১৩:০৬:১৮
মদনে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে স্বাবলম্বী ইয়াসিন মিয়া

আল মাহবোব আলম, মদন (নেত্রকোনা) : তোষ ও হারিকেনের আলোতে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের কুঠুরীকোনা গ্রামের ইয়াসিন মিয়া। তিনি এখন ওই ইউনিয়নের অনেকের কাছেই দরিদ্র জয়ের দৃষ্টান্ত।

এক সময় সে কাজের সন্ধ্যানে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াত। বড় ভাই হাদিস মিয়ার উৎসাহ উদ্দীপনা পেয়ে তার সহযোগীতায় প্রথম তোষ ও হারিকেনের আলোর পদ্ধতিতে এক হাজার ডিম কিনে বাচ্চা ফুটিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তা বিক্রি করে।

এভাবে এ পদ্ধিতে উৎপাদন বাড়াতে শুরু করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা তার নিকট থেকে এক দিনের বয়সের হাসের বাচ্চা কিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতে থাকে।

বাংলাদেশ প্রাণি গবেষনা কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি দল তার এই পদ্ধতি পরিদর্শণ করে তাকে পরামর্শ দিয়ে এভাবে আরো লাভবান হওয়ার সহযোগিতা প্রদান করে। ইয়াসিন মিয়ার অভিজ্ঞতার জন্যে বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষনা কেন্দ্র ও মেঘালয় বেসিন ডেভেলপমেন্ট অর্থরীটি(এমবিডিঅ) ইন্ডিয়া অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক হিসাবে সনদপ্রত্র প্রদান করেন।

তোষ ও হারিকেনের আলোয় ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পদ্ধতি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ইতি পূর্বে ভারতের মেঘালয় ও নেপালে তাকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে ৪/৫শ হাঁস খামাড়ি প্রশিক্ষণ নেয়। বর্তমানে তিনি এ পদ্ধতিতে প্রতিদিন ৩/৪হাজার হাঁসের বাচ্চা ফোটাচ্ছেন এবং তা নিজ জেলাসহ ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও দেশের সবকটি বিভাগের পাইকাররা এ বাচ্চা সরবরাহ করছে।

এ পদ্ধিতিতে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে ইয়াসিন মিয়া এখন স্বাবলম্বী। উপজেলার কুঠুরীকোনা গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর ছেলে মোঃ ইয়াসিন মিয়া স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার। তিনি উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষনা কেন্দ্রের পরামর্শে এ পদ্ধতিতে ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চা ফোটিয়ে তার ভাগ্যের পরিবর্তন এনেছেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মামুনুর রহমান জানান, এ পদ্ধতিতে স্বাবলম্বী ইয়াসিন মিয়া কে অনুসরণ করে এ গ্রামে বর্তমানে ১৩০টি পরিবার এই পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। জেলার মধ্যে কুঠুরীকোনা গ্রামটি তোষ পদ্ধতিতে হ্যাচারী পল্লী হিসাবে অতিপরিচিত। দেশীয় এ পদ্ধতিতে কম করচে অধিক লাভবান হতে পারছে প্রতিটি পরিবার।


(এএমএ/এসপি/মে ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test