E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিল পাশ না করায় মহাদেবপুরে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

২০১৭ জুন ০১ ২২:৩১:৪৭
বিল পাশ না করায় মহাদেবপুরে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে এডিপি রাজস্ব খাতের কোটি কোটি টাকার আওয়াতায় টেন্ডারবাজি, প্রকল্পের অনিয়ম তদন্ত ও বিল পাশ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘন্টাব্যাপী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মাছ চত্বর মোড়ে ‘মহাদেবপুর সচেতন নাগরিক সমাজ’ ব্যানারে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। ‘মহাদেবপুর সচেতন নাগরিক সমাজ’ ব্যানারে এই কর্মসূচী পালন করা হলেও নেপথ্যে রয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকার দলীয় আর্শীবাদপুষ্ট কিছু ঠিকাদার।

নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কুদরতী খুদা সোহাগের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক অনুকুল চন্দ্র সাহা বুদু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বাক কাওসার আলী, যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজুসহ অন্যরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইউএনও জেবুন নাহার উপজেলার দায়িত্ব ভার নেয়ার পর থেকেই নিয়মিত অফিস করেন না। সর্ব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কোন কাজে গেলে নানা রকম হয়রানীর শিকার হতে হয়। এ সকল বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন কাজ না হয়নি। ইউএনও যতদিন অপসারণ না হবে ততদিন পর্যন্ত অবরোধ, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন চলতেই থাকবে।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ, প্রতি বছর এলজিইডি, উপজেলা পরিষদসহ এডিপি রাজস্ব খাতের কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডার হয়। সেই টেন্ডারগুলো সরকার দলীয় নেতার প্রভাবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতি বছর মেসার্স তরফদার, মেসার্স উল্লাস, মেসার্স বিসমিল্লাহসহ হাতে গোনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পেয়ে থাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগও উঠেছে এলাকাবাসির মধ্যে। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার কঠোর হলে ফুঁসে উঠেছে সরকার দলীয় নেতা-কর্মী ও টেন্ডারবাজ ঠিকাদাররা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার বলেন, যাদের ইন্ধনে এই মানববন্ধন তারা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের নিয়মিত ঠিকাদার। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের এডিপি রাজস্ব খাত থেকে যে সমস্ত প্রকল্পগুলো ছিল, সেগুলোর টেন্ডার পেয়েছে মেসার্স তরফদার, মেসার্স উল্লাস, স্থানীয় এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদারের ছেলের মেসার্স বিসমিল্লাহসহ ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে কাজগুলো দেখার পর সন্তোসজনক ও মানসম্মত না হওয়া পুনরায় কাজ সংশোধন করতে বলা হয়। সুষ্ঠুভাবে কাজ না করলে বিল পাশ করা সম্ভব নয় জানিয়ে দিলে তারা বেপোরোয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু তারা প্রকল্পের সঠিক কাজ না করে বিল পাশ করে দিতে চাপ দেন। তাদের চাপের মূখে বিল পাশ না করে দেয়ায় এই কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

ঠিকাদারদের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরো বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে দেখে আসছেন- রহস্যজনক ভাবে হাতে গোনা এসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিভাবে প্রতি বছর প্রায় প্রতিটি কাজ পেয়ে থাকে। সরকারি কাজে কোন অনিয়ম হতে দেয়া যাবে না। প্রকল্পের সঠিক কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন ঠিকাদাররা। তার আগে একটি টাকাও পাশ হবে না। এ অবস্থায় বিলটি পাশ করানোর জন্যই এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।

(বিএম/এএস/জুন ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test