E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিয়ের দাবিতে পুলিশের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

২০১৭ জুন ১০ ১৩:৪৯:৫৫
বিয়ের দাবিতে পুলিশের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় বিয়ের দাবিতে পুলিশ প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন সুবর্না রানী রায় (১৮) নামে এক কলেজছাত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিমলা থানা পুলিশ প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়ি থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে।

সুবর্না রানী ডিমলা সদর ইউনিয়নের ডিমলা হাইস্কুল পাড়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে ও ডিমলা মহিলা কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুবর্না রানীর সঙ্গে ডিমলা সদরের পন্ডিতপাড়া গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র রায়ের (২০) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। নারায়ণ চন্দ্র বর্তমানে পুলিশ কনস্টেবল পদে গাজীপুর জেলায় চাকরি করছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুবর্নাকে নিয়ে নারায়ণ চন্দ্র বাড়ি আসলে পরিবারের লোকজন সুকৌশলে সুবর্নাকে আটক করে নারায়ণকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

নারায়ণ বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে শুক্রবার সকালে সুবর্নাকে বাড়ির উঠানে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন পরিবারের লোকজন। এক পর্যায় সুবর্নাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অসুস্থ সুবর্না বাড়ির বাহিরে বিয়ের দাবিতে অনশন করতে থাকেন। পরে কৌশলে নারায়ণের বাবা রঞ্জিত ডিমলা থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে নারায়ণকে সরিয়ে দিয়ে সুবর্নার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।

সুবর্না রানী রায় বলেন, নারায়ণ প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমাকে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছে। আমি তাকে বিয়ে করতে না পারলে আত্মহত্যা করব।

একাধিকবার চেষ্টা করেও নারায়ণ চন্দ্র রায়ের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ডিমলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার বলেন, মিথ্যে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সুবর্নার সর্বনাশকারী পুলিশ কনস্টেবল নারায়ণের বিচার হওয়া উচিত। সুবর্নাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

ডিমলা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল কুমার সরকার বলেন, নারায়ণের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সুবর্নাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পরিবারের লোকজন অসুস্থ সুবর্নাকে থানা থেকে নিয়ে যাওয়ার অসম্মতি জানালে শনিবার দুপুর পর্যন্ত সুবর্না থানা হেফাজতেই রয়েছে। তবে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

(ওএস/এসপি/জুন ১০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test