E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নীলফামারীতে তামাক চাষীদের সমাবেশ

২০১৭ জুন ২১ ১২:২৭:৫৯
নীলফামারীতে তামাক চাষীদের সমাবেশ

নীলফামারী প্রতিনিধি : বিড়ি শিল্পের ওপর অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করে কুটির শিল্প বিড়িকে ধ্বংসের চক্রান্তের প্রতিবাদে নীলফামারীতে তামাক চাষীরা সমাবেশ করেছে।

“আগামী দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প বন্ধ করতে চাই” অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে তামাক চাষী সমিতি নীলফামারী অঞ্চলের আয়োজনে মঙ্গলবার(২০ই জুন)দুপুরে দিকে শহরের বড় মাঠে ওই মানববন্ধন সমাবেশ করেন তামাক চাষীরা।

পরে সেখানে জেলা তামাক চাষী সমিতির সভাপতি হামিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন, জেলা তামাক চাষী সমিতির সহ সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম ফকির, সদস্য বিকাশ চন্দ্র রায়, আমজাদ হোসেন, নিতাই চন্দ্র রায় প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, তামাক বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের একমাত্র অর্থকরী ফসল। এ অঞ্চলে প্রতিবছর ১৪৮ হাজার একর জমিতে তামাক চাষ হয়ে আসছে। শুধু এ অঞ্চলেই প্রায় পাঁচ লাখ কৃষক বিড়ির তামাক চাষের ওপর নির্ভরশীল। তাদের উৎপাদিত তামাকের বাজার মুল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এটি শুধু এ অঞ্চলের অর্থনীতি নয়, দেশের অর্থনীতিতে এটি বিরাট ভুমিকা রাখছে।

এ ছাড়া সারা দেশে বিড়ি শিল্পের সঙ্গে দুই লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত আছেন। এসব শিল্পে দেশের ১৫ লক্ষাধিক তামাক চাষী বিড়ি শিল্পের কাঁচামাল যোগান দিচ্ছেন।

বক্তারা আরো বলেন, প্রতি বছর বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর বৈষম্যমুলক শুল্ক আরোপের কারণে বিড়ি শিল্প এখন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। বৈষম্যমুলক শুল্ক নির্ধারনের কারনে গত কয়েক বছরে শতাধিক বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কারখানা বন্ধের কারনে বিড়ি শিল্প মালিকরা তামাক ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে এখন প্রায় দুইশত কোটি টাকার তামাক কৃষকদের ঘরে অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে।

বক্তারা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটে ঘোষিত বিড়ি শিল্পের ওপর বর্ধিত অযৌক্তিক কর প্রত্যাহার এবং অবিক্রিত তামাক বিক্রয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের মানিকের মোড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় মাঠে মানববন্ধন ও সমাবেশে মিলিত হয়।

(ওএস/এসপি/জুন ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test